ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যৌনকর্মীদের সম্পর্কে, এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। শুরু তাই নয়, এভাবে ‘অপমানিত’ করা হচ্ছে যৌনকর্মীদের, এমনটাই দাবি করেছেন যৌনকর্মী সন্তান এবং সোনাগাছির উন্নয়নের জন্য কাজ করা রতন দলুইয়ের।
ঠিক কী অভিযোগ ওই সমাজকর্মীর?
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। হিউম্যান ট্রাফিকিং রোখার জন্য কাজ করেন তিনি, বেসরকারি একটি ইউ টিউব চ্যানেলে জানিয়েছেন ওই সমাজকর্মী।
পডকাস্টের একটি অংশে তিনি বলেন, “সোনাগাছিতে প্রায় ৬৫ হাজার সেক্স ওয়ার্কার কাজ করে থাকেন। একবার একটি কাহিনি আমি শুনেছিলাম এবং একটি বইয়েও পড়েছি যে সেখানে যৌনকর্মীরা ১০ টাকার বিনিময়ে যৌনকাজ করে থাকেন।”
তিনি আরও বলেন, “সোনাগাছির মানুষজন সেক্স ওয়ার্ককে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে। আমি নিজেও যৌনকর্মকে কাজ হিসেবেই দেখি। আমার কথা একটাই কাউকে যাতে জোর করে এই পেশায় নিয়ে আসা না হয়। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি অতীতে, যাঁরা দাবি করেছেন তাঁরা প্রথমবার যৌনকাজ নিজের ইচ্ছেয় করেননি।”
এদিকে তাঁর এই ১০ টাকার বিনিময়ে সোনাগাছির যৌনকর্মীদের যৌনকর্ম করতে রাজি হওয়ার মন্তব্য প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে দুর্বারের পক্ষ থেকে।
দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সেক্রেটারি বিশাখা লস্কর বলেন, “এটা অত্যন্ত গুরুতর এবং অপমানজনক মন্তব্য। যিনি এই মন্তব্য করেছেন তাঁকে ধিক্কার জানাচ্ছি। তিনি কি যৌন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন? আমি এত বছর ধরে এখানের মানুষজনের সঙ্গে মিশছি। আমি কোনওদিন দেখিনি ১০ টাকার বিনিময়ে সম্প্রতি যৌনকাজ করতে। এটা অপমানজনক মন্তব্য এবং ভুল তথ্য। আমি প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই।”
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে যৌনকর্মীর সন্তান তথা সোনাগাছিতে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রতন দলুই বলেন, “আমি এখন কোনও যৌনকর্মীকে চিনি না যিনি দশ টাকা পারিশ্রমিক নেন। এটা একেবারেই ভুয়ো তথ্য। এখানে সর্বনিম্ন পারিশ্রমিক ২০০ টাকা। সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার মতো। অন্যান্য জেলা থেকে যে মহিলারা সোনাগাছিতে এসে কাজ করেন, তাঁরা অপেক্ষাকৃত কম পারিশ্রমিক নেন। কিন্তু, এই ১০ টাকা প্রসঙ্গিত তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়ো।”
