এখনও ওডিশা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগ করেনি শেখ পরিবারের সঙ্গে, জানা গিয়েছে এমনটাই। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর শরিফুলের জীবিত থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজন চাইছেন দ্রুত শরিফুলের দেহ চিহ্নিত করে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
অভাবী পরিবারের ছেলে শরিফুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। এই রাজ্যে নিয়মিত কাজ না পেয়ে দক্ষিন ভারতে পাড়ি দিচ্ছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি গিয়েছেন। কিন্তু এবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সব ওলট পালট হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
ওই পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রাজ্য। শরিফুলের পরিবারের এক সদস্য জানান, “যদি সে বেঁচে থাকত, তাহলে একবার অন্তত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করত। আর যদি কোনও হাসপাতালে থাকত, তাহলেও খবর পাওয়া যেত।
ভাঙা মন নিয়ে আমরা ধরেই নিয়েছি শরিফুল আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাই বলে তাঁর দেহ পাব না, বা শেষ কাজটুকু করতে পারব না, এমনটা তো নয়। এই রাজ্যের অনেক পরিবার মৃতদেহ ফিরে পেয়েছেন। শুধু আমরাই পাচ্ছি না। প্রশাসনকে অনুরোধ করছি, আমাদের বাড়ির ছেলের মরদেহ আমাদের ফিরিয়ে দিন”।
কিছুদিন আগে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালেশ্বর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর।
ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিকে। তিনটি ট্রেনের এই সংঘর্ষে মৃত্যু মিছিল জারি রয়েছে।