সুতপা সেন : পঞ্চায়েতের মনোনয়ন শুরু হতেই রক্ত ঝরল রাজ্যে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে গুলিতে নিহত কংগ্রেস কর্মী। ডোমকলেও মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা। বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ। এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকেই আসছে অশান্তি, গন্ডগোলের খবর। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ডোমকল,খড়গ্ৰাম সহ একাধিক জায়গায় গন্ডগোলের ছবি। বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন জমাকে ঘিরে অশান্তির কারণ জানতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কমিশন। কেন মনোনয়ন জমা দেওয়া যাচ্ছে না? প্রশ্ন কমিশনের। পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারেও জেলাশাসকদের কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। যদিও কোন জেলা স্পর্শকাতর, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই রাজ্য পুলিসেই পঞ্চায়েত ভোট করানোর কথা জানিয়েছিল কমিশন। গতকাল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিসের ডিজি-র সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশন রাজীব সিনহা। সূত্রের খবর, সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ভোটে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন পক্ষে নয় কমিশন। বরং প্রয়োজন পড়লে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
কিন্তু তারপরই রাতে খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী। রাতভর চলে পুলিসি ধরপাকড়। মনোনয়ন জমার প্রথম দিনে রাজনৈতিক খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে। কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির শাসকদলের দিকে।
ওদিকে ডোমকল সহ বিভিন্ন জায়গায় শনিবার সকাল থেকেই ফের পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ডোমকলে বিডিও অফিস চত্বরে বিরোধীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মারধর করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। বিডিও অফিস ঘিরে রেখে তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস।
আরও পড়ুন, Jalpaiguri: গলায় বিঁধে ছুরি, হাঁটছেন রক্তাক্ত শরীরেই! ভয়ংকর দৃশ্য চাক্ষুষ জলপাইগুড়িবাসীর