এছাড়াও সাংবাদিক হেনস্থা, বিরোধী দল BJP-র বহু কর্মীকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছিল ওই সময় । কিন্তু তার ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা গেল ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনে। যেখানে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাত্র ৬০টি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছিলেন বিরোধীরা, সেখানে গতকাল শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের মোট ৩৪০১টি আসনের মধ্যে ১২১ টি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে BJP।
অন্যদিকে CPIM মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছেন মাত্র ৩টি আসনের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অনুব্রতর অনুপস্থিতিই ফ্যাক্টর? না অনুশোচনা? কারণ অধিকাংশ জায়গায় ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ার ফলাফল দেখা গিয়েছিল লোকসভা ভোটে।
আর তারপরে একটি জনসভা থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে অনুশোচনার সুরে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে দেখা যায়, ‘২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে যা হয়েছে ভুল হয়েছে আর তা হবে না এবার তোমাদেরকেই লড়াই করে জিততে হবে’। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ বিরোধী দলগুলি।
BJP-র বীরভূমের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “শয়তানের বংশ অনুব্রত মণ্ডল যে বীজ পুঁতে গিয়েছেন সেই শয়তানদের বীজের অস্তিত্ব এখনও বর্তমান। সুতরাং না আঁচলে বিশ্বাস নেই । তবে আজ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় না থাকলেও ঠিক আছে। আমরা ১২১টি আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছি।
আগামি যে দিনগুলি আছে তাতে আরও বেশি করে মনোনয়ন জমা করতে পারব। জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে BJP-রই জয় হবে”। রবিবার বাদ দিয়ে, ১৫ই জুন পর্যন্ত রোজ মনোনয়ন জমা করা যাবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত জমা করা যাবে মনোনয়নপত্র। এত অল্প সময়ে কী করে মনোনয়ন জমা সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। যদিও একদিনে বেশি পরিমানে মনোনয়ন জমা করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে বীরভূম জেলা BJP।