প্রসেনজিৎ মালাকার: ব্যবধান মাত্র একদিনের। বিজেপি নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠার পর এবার প্রচারে নামল তৃণমূল। কীসের প্রচার? গাড়িতে চেপে মাইক নিয়ে স্বয়ং বিধায়ক বলছেন, ‘সমস্ত বিরোধী দল মনোনয়ন জমা দিতে পারবে। কোনওরকম ঝামেলা করা হবে না। কেউ বাধা দিলে পুলিস-প্রশাসনকে জানান’!
৮ জুলাই একদফাতেই পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যে। যেদিন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়, তার পরের দিন থেকেই শুরু হয়ে দিয়েছে মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া। সঙ্গে অশান্তি, এমনকী মৃত্যুও! কেন? বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত মনোনয়নে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। ব্যতিক্রম নয় বীরভূমও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গতকাল শনিবার বীরভূমের লাভপুরে ব্লক অফিসে মনোনয়ন পেশ করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, মাঝ-রাস্তায় তাদের মারধর করেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা। এমনকী, ব্লক অফিস থেকে বেরনোর পর পা-ভেঙে দেওয়ার হমকি দেওয়ার হয়!
এদিকে দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে? বীরভূমের লাভপুরের বিভিন্ন গ্রামে রীতিমতো মাইকিং করে বিরোধীদের ভরসা দিলেন বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। এলাকায় অবশ্য রানা সিংহ নামেই বেশি পরিচিত তিনি।
আরও পড়ুন: Abhishek Vs Shantanu: ‘এটাই ওর শেষ পদযাত্রা হয়ে যাবে’, অভিষেককে পাল্টা শান্তনুর..
কেন এমন প্রচার? লাভপুরে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগে অস্বীকার করেছেন বিধায়ক ভিজিৎ সিংহ। তাঁর দাবি, ‘বিধায়ক হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে, যাতে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে। এবং তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কর্মী হিসেবে, আমার দলের যে নির্দেশ, সেই নির্দেশ পালন করা আমার কর্তব্য। তাই আমি সমস্ত লাভপুর এলাকায় ঘুরে ঘুরে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করছি, গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। যার যেখানে যেমন সাংগঠনিক ক্ষমতা আছে, প্রার্থী দিন’।