Kalighater Kaku : ‘আদানি-অম্বানির থাকতে পারে, আমার ২০০ কোটি থাকলে দোষ?’ ক্ষুব্ধ কালীঘাটের কাকু – lost his temper after hearing ed question kalighater kaku sujay krishna bhadra


এই সময়: নিজের সম্পত্তিবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন সংস্থায় টাকা বিনিয়োগের প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারালেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। দেশের দুই নামি শিল্পপতির উদাহরণ টেনে যুক্তি দিলেন, “আদানি-আম্বানির যদি কোটি কোটি টাকা থাকতে পারে, তা হলে আমার বেলা টাকার অঙ্ক নিয়ে এত প্রশ্ন কেন? আমার ২০০ কোটিও থাকতে পারে, তাতে কার কী?”

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আপাতত ইডি হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকেরা জানতে চান ৬টি সংস্থায় ২০ থেকে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে বলে জানতে পেরেছে ইডি।

Kalighater Kaku : ‘সাহেব’-কে তলব ইডির! মুখ খুলে ‘কালীঘাটের কাকু’ বললেন, ‘লাভ নেই’
তা কি সত্যি? এর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগ রয়েছে? এমন প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারান সুজয়কৃষ্ণ। তিনি বলেন, “আমার যদি বিনিয়োগ থাকে তাতে আপনাদের কী?”

ফের তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই ৬টি সংস্থায় বিনিয়োগে কি শিক্ষক নিয়োগের টাকাও রয়েছে? উত্তরে সুজয়কৃষ্ণ বলেন, “কিছু নেই। ২০০৮ সাল থেকে আমি কাজ করছি। সব নথিপত্র ইডি-কে দিয়েছি।” এদিন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে কুন্তলের চিঠি প্রসঙ্গে অভিষেককে ইডির তলব নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। কালীঘাটের কাকুর জবাব, “এতে কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে না। লাভ হবে না।”

Kalighater Kaku Arrest : কালীঘাটের কাকু যোগ বহু অ্যাকাউন্টে, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির তদন্তে
সুজয়কৃষ্ণের সূত্রেই গত শুক্রবার ১৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিষ্ণুপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে। অভিযোগ, সুজয়ের নির্দেশে তিনি নথিপত্র লোপাট করেছেন। এমনকী, সুজয়ের মোবাইলের তথ্যও ডিলিট করেছেন। সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর কী ভাবে পরিচয় হলো, তিনি নথি লোপাটের সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে রাহুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় বলে ইডি সূত্রের খবর।

শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বাইরে আসার পরে রাহুল বলেন, “ইডি-কে তদন্তে সহযোগিতা করেছি। প্রয়োজনে আবার করব।” শনিবার দুপুরে ফের তাঁকে তলব করা হয়। এ প্রসঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের বক্তব্য, “কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না।” এদিন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, “আপনাকে কি ফাঁসানো হচ্ছে?” তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “সেটা পরে দেখা যাবে।”

Recruitment Scam : ED-র নজরে সিভিক ভলান্টিয়ার? ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা
নিয়োগ মামলায় বিএড কলেজের মালিক ধৃত তাপস মণ্ডল প্রথম কালীঘাটের কাকুর নাম সামনে এনেছিলেন। এর পর ২০ মে সুজয়ের বেহালার ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, এমন তিনটি সংস্থার অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়।

সংস্থাগুলির ডিরেক্টর এবং অ্যাকাউন্ট্যান্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরপর গত ৩০ মে সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁর আরও ৩টি সংস্থার বিষয়ে তথ্য মিলেছে বলেও ইডি-র দাবি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *