তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার দুই দিনের মধ্যেই আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমুল কংগ্রেসে ভাঙন দেখা দিল।
এই বিষয়ে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মহমাদুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “রাজনীতি করে পেট চালাতে হবে, এই বিষয়টা নয়। রাজনীতি করা আমার নেশা। এখন আরামবাগের তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার যা অবস্থা, তার সঙ্গে আমি খাপ খাওয়াতে পারছি না। যে পরিবেশ থেকে আমি উঠে এসেছি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে মেলাতে পারছি না। দলকে আমি সব জানিয়েছি। আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি।”
যদিও তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে কি এমন ঘটল আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে পদত্যাগ করতে হল? এটা কি আরামবাগ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার অবক্ষয় দিকটা উঠে আসছে না?
প্রশ্ন উঠছে এই সমস্ত। তা নিয়ে জল্পনাও তুঙ্গে। অপরদিকে ভোটের আগে তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে কটাক্ষ করেছে BJP। খানাকুলের BJP বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “তৃণমূলে দল ছাড়াছাড়ির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এটা কোনও নতুন ব্যাপার নয়। যেটা হচ্ছে সেটা ভালোই হচ্ছে। আরও ভাঙবে ওরা।”
সবমিলিয়ে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদত্যাগ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার এক তৃণমূল নেতা এই বিষয়ে জানান, “খবরটি আমি শুনেছি। কিছু মান অভিমানের ব্যাপার থাকতে পারে। মহমাদুল খুবই দক্ষ সংগঠক। তাঁর সঙ্গে কথা বলব। বোঝার চেষ্টা করব যে কি হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ফেসবুকে পোস্ট করে তৃণমূল দল ছাড়া এই প্রথম না। এর আগেও বেশ কয়েকবার বীরভূম জেলাতে এই ধরনের দলত্যাগ দেখা গিয়েছে। আর এই ঘটনাই ভাঁজ ফেলছে দলের নেতৃত্বের কপালে।