সাধারণত বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ কেউ গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট মামলা রুজু করেই পুলিশ আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতের আবেদন চেয়ে। ধৃতের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে এল, সেই অস্ত্র কেন কাছে রাখা হত তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ ধৃতকে হেফাজতে নিয়েই আগ্নেয়াস্ত্রের ডিলারের নাগাল পেতে চায় পুলিশ। কিন্তু ডোমকল ব্লকের সারাংপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বাসির মোল্লার ক্ষেত্রে আইনি পদ্ধতি না মানায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে সরব বিরোধী।
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, সর্বসমক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল তাই পুলিশ বাসির মোল্লাকে আড়াল করতে পারেনি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, পুলিশ যা চাইছে তা হবে না। মানুষ সব জেনে গিয়েছে। উল্লেখ্য , ঘটনার সময় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, যে পুলিশকর্মী বাসির মোল্লার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেন, তিনি বলছেন, পালিয়ে গেলে বাসিরকে ধরা হত না। কিন্তু, পুলিশের সামনে অস্ত্র নিয়ে ধরা পড়লে থানায় নিয়ে যেতেই হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার ডোমকল বিডিও অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। সিপিএম তৃণমূল কংগ্রেসে শুরু হয় ধ্বস্তাধস্তি। এর মাঝেই বাসির মোল্লাকে আটক করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে মেলে একটি লোডেড আগ্নেয়াস্ত্র। সেটি তাঁর কোমরে গোঁজা ছিল। সেসময়ই তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রবিবার বাসির মোল্লাকে বহরমপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ হেফাজতের আবেদন না হানানোয় বিচারক চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।