ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুলের জানিয়েছেন, ভোটের জন্য মারপিট করার কোনও দরকার নেই। দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে যেন কোনও অশান্তি না হয়। ভাঙড়ের মাঝেরহাট গ্রাম তৃণমূলের দেওয়াল দখল করার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্দে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এখানেই ভাড়া বাড়িতে থাকেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
স্থানীয় সূত্রে খবর পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর দেওয়াল দখল ঘিরে ভাঙড়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। রবিবার তৃণমূলের দেওয়ালে শাসকদলের নাম মুছে দিয়ে ‘ভোট ফর আইএসএফ’ লিখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় নওশাদের দলকে দায়ী করেছে তৃণমূল।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নিজের অবস্থান থেকে প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে আরাবুল বলেন, ‘একটা জায়গায় দেওয়াল দখল করে যদি আইএসএফের শান্তি হয়, তাহলে তারা সেটা করুক। আমার কাছে এই নিয়ে অভিযোগ এসেছে। আমাদের ছেলেরা তৈরি। কিন্তু আমি তাঁদের বলেছি মারপিট করার কোনও দরকার নেই। এটা ছোটো ঘটনা। এই ঘটনা নিয়ে গণ্ডগোলের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আমি বলেছি তাঁদের, যে একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা ভাঙড়ে যেন কোনও অশান্তি না হয়।’
দেওয়াল দখলের অভিযোগ প্রসঙ্গে আইএসএফ নেতা আসাদুল মোল্লা বলেন, ‘২০২১ সালে আইএসএফের যে দেওয়ালগুলি ছিল, তা তৃণমূল দখল করে নিয়েছে। আমরা কোনও ঝামেলার মধ্যে জড়াতে চাই না। দেওয়াল দখলের রাজনীাতি আমরা করি না। কারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে আমাদের সঙ্গে। ২০২১ সালে যে দেওয়ালগুলি আমাদের ছিল, সেগুলি ব্যবহার করেই প্রচার করা হবে। তৃণমূল অভিযোগ নিয়ে কোনও কিছু যায় আসে না। বাড়িওয়ালার অনুমতি নিয়ে দেওয়ালে চুনকাম করা হয়েছ।’ উল্লেখ্য ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ে হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে। একসময়ের গড় পঞ্চায়েতে পুনরুদ্ধারে মরিয়া তৃণমূল। এখন সেখানকার পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।