১ নম্বর ব্লকের ছোট জাগুলিয়া BDO অফিসের আশেপাশে যে সব দোকান খোলা রয়েছে সেই সব দোকানপাট পুলিশকে গিয়ে বন্ধ করতে দেখা গেল। পাশাপাশি জমায়েত সরাতেও দেখা গেল পুলিশকে। তবে বারাসত ব্লক ২ এর ক্ষেত্রে পুরো ভিন্ন ছবি দেখা গেল।
BDO অফিসের একেবারের পাশেই খোলা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস এবং সেখানে দলীয় কর্মীরাও রয়েছেন। একইভাবে BDO অফিসের আশেপাশে খোলা রয়েছে দোকানপাট। আর পাঁচটা দিনের মতই স্বাভাবিক রয়েছে সবকিছু। তবে পুলিশের নজরদারি চলছে।
এই বিষয়ে এক বাম নেতা অভিযোগ করে জানান, “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য নির্বাচন কমিশন যেসব নিয়মাবলি দিয়েছে, গোটাটাই ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। শুধুমাত্র ফরমালিটি, তার মধ্যেও বামপন্থীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ আমরা নির্বাচনটা চেয়েছিলাম। নির্বাচন হচ্ছে এটা আমাদের কাছে একটা জয়। পার্টি অফিস খোলা রয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলার নেই। কারণ পুলিশ বরাবরই শাসক দলের দাস। পুলিশকে নিরপেক্ষ হতে হবে। তারা যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন বলেও জানান তিনি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করে বলা হয়েছে, পুলিশের ভূমিকায় তাঁরা সন্তুষ্ট। ২৩ জন কে নিয়ে DCR তুলতে আসার সময় তাঁদেরকে পুলিশকে আটকায়। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, নমিনেশন তো আজ জমা পড়ছে না।
যেদিন নমিনেশন জমা দেওয়া হবে সেদিন পার্টি অফিস খোলা থাকলে বিষয়টি নিয়ে ভাবা যেত। তবে পুলিশ যদি মনে করে পার্টি অফিস বন্ধ করে দিতে পারে। ISF-এর তরফ থেকেও দাবি করা হয়েছে, প্রশাসনকে তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে হবে। এখানে কোনও গণ্ডগোল হলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
অন্যদিকে বারাসত এক নম্বর ব্লক অফিসে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তারপরেও দোকানপাট খোলা রাখায় দোকানদারদের পুলিশ জোর করে দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দিচ্ছেন। DCR কাটতে লম্বা লাইন লেগে রয়েছে। মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যই বারাসত এক নম্বর BDO অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
তারপরেও খোলা রয়েছে একাধিক দোকান। সাধারণ মানুষ ভিড় জমাচ্ছে দোকানে। তাই পুলিশ বাধ্য হয়ে দোকানে ঝাঁপ বন্ধ করে দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বারাসত এক নম্বর ব্লক অফিসে সকাল ১১ টা থেকেই DCR কাটতে লম্বা লাইন লেগেছে। BDO অফিস চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে।