আজ আজকেও সেই একই অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। এবার হামলার অভিযোগ উঠেছে CPIM কর্মীদের ওপর। নানুরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। বীরভূমের কীর্ণাহার থেকে নানুরে CPIM কর্মীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন।
আর কীর্ণাহার নানুর রাস্তায় নানুর ঢোকার মুখে CPIM কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় ও তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ CPIM কর্মীদের। তারা নানুর থেকে ফিরে এসে কীর্ণাহার বাসষ্ট্যান্ডের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
বিক্ষোভরত এক CPIM কর্মী বলেন, “অনেক আগে থেকেই ঠিক ছিল যে আজ আমরা সবাই মিলে মনোনয়ন জমা দিতে যাব। সেই মতোই বেরিয়ে পড়ি। কিন্তু পথে কোথা থেকে কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী এসে পড়ে, আর আমাদের শাসাতে থাকে। মনোনয়ন জমা দিতে যেতে বাধা দেয়। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপর চড়াও হয়। মারমুখী হয়ে ওঠে। আমাদের কিছু কর্মী সমর্থককে খুব মারধর করে। তাঁরা জখম হয়েছেন।”
ওই কর্মী আরও বলেন, “আমরা এসে সব ঘটনা খুলে পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নানুরের স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, “এটা বাম কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। ওদের যে কে প্রার্থী হবে, আর কে হবে না, সেটাই ঠিক করতে পারছে না। একবার বলছে জোট আছে, একবার বলছে নেই। সেই কারণেই এই কাণ্ড ঘটেছে।”
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের তৃতীয় দিনেও তুমুল অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। অনেক জায়গা থেকেই ঝামেলার খবর এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার দিনই নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছিলেন, রাজ্য পুলিশ দিয়ে পাহাড়ের দ্বিস্তরীয় ও বাকি সর্বত্র ত্রিস্তরীয় এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সদ্য নির্বাচিত কমিশনার দাবি করেছিলেন, রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা সব দিক খতিয়ে দেখেই প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশনে সমস্ত কিছু জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।