নতুন প্রজন্ম নির্বাচনে লড়াইয়ের সুযোগ পাক এবং তিনি নিজে সব প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বের হতে পারবেন। এই কারণ দেখিয়ে নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। পঞ্চায়েত ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কোচবিহার জেলাপরিষদ এর ১০ বছরের কর্মাধ্যক্ষ সুচিস্মিতা দত্ত শর্মা। তিনি তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রীও বটে। সোমবার বিকেলে তিনি জানান, তিনি এবারের ভোটে দাঁড়াতে ইচ্ছুক নয়।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়েছে সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূল জেলা সভানেত্রীর এই সিদ্ধান্ত ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই নেত্রীকে ডাকা হচ্ছে।”
জানা গিয়েছে, গত বছর কোচবিহার জেলা পরিষদের ৩৩ টি আসন ছিল। ৩২ টি আসনে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। একটি আসনে নির্দল জয়ী হয়েছে। এবারে একটি আসন বেড়ে জেলাপরিষদ আসন সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৪। আসন সংরক্ষণের কারণে বেশকিছু আসনে রদবদল হচ্ছে।
বেশ কিছু আসনে পুরনো সদস্যরা টিকিট পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। কে না কারা প্রার্থী হবেন তা নিয়ে নানান জল্পনা চলছে। পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এবার ভোটগ্রহণ কর্মসূচি করা হয়েছে। সেই মতামতকেও প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অনেকে নাম বাদ যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। তার আগেই রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানালেন জেলা তৃনমুল সভানেত্রীর।
তবে তাঁর নির্বাচনে না লড়ার বিষয়টি দলকে আগেই লিখিত আকারে জানিয়েছিলেন বলে জানান সুচিস্মিতা দত্ত শর্মা। এরপরেও যাতে কোনও সমস্যা না তৈরি হয়, সে কারণেই এদিন তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তবে প্রার্থী পদ পাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকার কারণেই তিনি আগে থেকেই নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাকি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।