সেখানে দেখা যায় এক অন্য ছবি। নানুরে তৃণমূল নেতা তথা জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মনোনয়ন পত্র জমা করান সিপিএম প্রার্থীদের। কোনওরকম বাধা প্রদানের যাতে কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার ব্যবস্থা করলেন তিনি নিজেই।
মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক অশান্তির খবর উঠে আসতে থাকে বিভিন্ন জেলা থেকে। বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে সরব হয় বিরোধীরা। রবিবারের বিরতির পর সোমবার ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হতেই অশান্তির ছবি উঠে আসে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া সহ একাধিক জেলা থেকে।
গত শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের ঘটনার পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে কড়া নির্দেশ দেন বিরোধীদের মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনওরকম বাধাপ্রদান না করার জন্য। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি তদারকি করার জন্যেও নির্দেশ দেন তিনি।
যদিও, সোমবারও এই নির্দেশের বিরূপ চিত্র লক্ষ্য করা যায় একাধিক জেলায়। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সিপিএম ও তৃণমূলের খণ্ডযুদ্ধের কারণে আহত হন পুলিশ কর্মীরাও। এমত অবস্থায় পুরো উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেল বীরভূম জেলায়। অনুব্রত গড় বলে পরিচিত নানুরে ভিন্ন চিত্র দেখতে পেল রাজ্য রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের তিহার যাত্রার পর থেকেই বিরোধী শিবিরের নেতা কাজল শেখের দায়িত্ব বাড়তে থাকে জেলায়। এর আগে দলের প্রার্থীদের টিকিট বিলি নিয়েও সরব হয়ে দেখা যায় কাজল শেখকে। কোনও ‘ দাদা-দিদি’দের ধরে টিকিট এ বছর পাওয়া যাবে না বলে দলের কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায় তাঁকে। এর মধ্যেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেল নানুরে।