বিষ্ণুপুরের জয়পুর ব্লকের বাঘরোল গ্রামের কাছে বাঁকুড়া -আরামবাগ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে বসেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেই সময় ওই রাস্তা ধরে বাঁকুড়া থেকে কলকাতা যাচ্ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকাই বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সায়ন্তিকার গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূলনেত্রীকে কটূক্তি করা হয় বলেও অভিযোগ।
তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলনেত্রীর কনভয় লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। ইটের আঘাতে সায়ন্তিকার কনভয়ে থাকা পাইলট কারের পিছনের কাচ ভেঙে যায়। সায়ন্তিকার অভিযোগ, বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর উস্কানিতে তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাইলট কারের উপর চলে লাঠি-দান্ডা দিয়ে আঘাত। নিমেষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে পালটা গুণ্ডাগিরির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তৃণমূলনেত্রীর কনভয় লক্ষ্য করে ইট ছোড়া স্থানীয়দের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলেই জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
এই ঘটনার জেরে মাঝরাস্তায় আটক পড়ে সায়ন্তিকার গাড়ি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই ঘটনায় সায়ন্তিকার কোন চোট বা আঘাত লাগেনি । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আক্রমণের সময় তিনি, গাড়ির মধ্যেই ছিলেন বলেই গাড়ির কাচ বন্ধ থাকার কারণে আঘাত লাগেনি। তবে হঠাৎ করে আক্রমণের মুখে খানিক বিব্রত দেখায় সায়ন্তিকাকে।
সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমাকে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। বিজেপি তাঁদের স্বভাব মতোই আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়। বিজেপি সাংসদের অনুপ্রেরণায় ও তাঁর নির্দেশ আমার গাড়ি ও কনভয়ে আক্রমণ করা হয়। কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছি। একজন আহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের অনেকেই আঘাত লেগেছে।’
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘নমিনেশন দিতে যাওয়ার সময় সায়ন্তিকা তৃণমূল ও পুলিশের গুণ্ডাদের নিয়ে এখানে এসেছিলেন। সায়ন্তিকা এই জয়পুরের কে! সায়ন্তিকা যেভাবে দাদাগিরি করতে এসেছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। কোনও ঘটনা ঘটলে দায়ী থাকবে সায়ন্তিকা। ওঁর সঙ্গে বাঁকুড়ার জেলার কোনও সম্পর্ক নেই। ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকে। বাঁকুড়াতে আগে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল, মানুষ ওঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখানে আসবে কেন? উনি সাংসদ না বিধায়ক যে এখানে ওনাকে আসতে হবে!’