তিনি আরও বলেন, “মন্দিরে প্রবেশ করার আগে তাঁদের ঠাকুরবাড়ি থেকে লিখিত অনুমোদন নেওয়া উচিত ছিল”। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একজন লোকসভার সাংসদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। তার কি পরিণতি তা পুলিশ বুঝতে পারবে”। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে শান্তনু ঠাকুর কে নির্বাচনে হারিয়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি আজ পর্যন্ত যাকে যাকে হারিয়ে দেবেন বলেছেন সকলেই জিতেছে”।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সাগরদিঘির মতো যদি পঞ্চায়েত ভোট হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি আগের দিন হাওড়া জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। খুবই খারাপ অবস্থা। গন্ধময় চারিদিক। পরিকাঠামো নেই। অথচ একজন সাংসদের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রতিদিন পরিবহন এবং স্যানিটাইজেশনের কাজে এক কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে”।
রবিবার তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে থাকবে। মূল লড়াই হবে BJP-র সঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকির”। এছাড়াও শুভেন্দু রবিবার রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ করে সোশাল মিডিয়াতেও লম্বা পোস্ট করেছেন।
“পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্য ও অপদার্থতার নিদর্শন”- সোশাল মিডিয়ায় এই শীর্ষক এক দীর্ঘ পোস্টে রবিবার ভিডিও ফুটেজ সহ পোস্ট করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘রাজেশ মাহাতো, শিবাজি মাহাতো সহ কুড়মি আন্দোলনের ৯ নেতা-কর্মীকে বিনা অপরাধে, তথ্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও, শুধুমাত্র ভাইপোকে তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে এবং হেফাজতে নিয়ে ওনাদের ওপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করার লক্ষ্যে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল CID।
ঝাড়গ্রাম বিশেষ দায়রা আদালত CID হেফাজতে নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন’। আর তাঁর এই পোস্টের পরেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, এবার কুড়মিদের পাশে কোমর বেঁধে দাঁড়াতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।