স্থানীয় সূত্র খবর, চোপড়ার হাতিঘিসা মোড় এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ চোপড়ার দাপুটে কংগ্রেস নেতা অশোক রায়, সিপিআইএম নেতা বিদ্যুৎ তরফদার সহ একাধিক নেতৃত্ব। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
জেলা কংগ্রেস ও সিপিএম সূত্রে খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য অশোক রায়, কংগ্রেসের মহিলা ব্লক সভাপতি মুস্কান পারভীন, কংগ্রেসের কিষান সেলের ব্লক সভাপতি আবুবক্কর সিদ্দিকি, সিপিএমের জেলাকমিটির সদস্য বিদ্যুৎ তরফদার, ডিওয়াইএফআই নেতা নূর জামাল, ডিওয়াইএফআই লোকাল কমিটির সদস্য আনসারুল হক ও ডিওয়াইএফআই যুব নেতা লতিফুর রহমানকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের মনোনয়ন সংক্রান্ত কাজে গাড়িতে করে চোপড়া বিডিও অফিসে আসছিলেন বাম-কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। কাজে আসছিলেন বাম-কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। এরপর হাতিঘিসা মোড় এলাকায় তাঁদের গাড়ি আটকায় একদল দুষ্কৃতী। গাড়ি ভাঙচুর করে, বাম কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করেছে অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা। কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন এক গাড়ির চালক ও এক যুব কংগ্রেস কর্মী।
কংগ্রেস নেতা অশোক রায়ের স্ত্রী সহ অন্যান্য বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা চোপড়া থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে চোপড়া এলাকায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাম কংগ্রেস নেতা কর্মীরা।
অপহৃত কংগ্রেস নেতা অশোক রায়ের স্ত্রী নমিতা রায় বলেন, ‘আমাদের লোকেরা বিডিও অফিসে আসছিলেন কাজের জন্য। রাস্তা ওঁকে ও অন্যান্যদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার স্বামী এখনও নিখোঁজ। পুলিশকে জানিয়েছি, ওঁদের খুঁজে বের না করলে আমার থানা থেকে যাব না।’
যদিও বাম-কংগ্রেসের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ফোনে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এমন কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। আসলে কি হয়েছে তা এখনই বলতে পারছি না। তবে ঘটনাটা জেনেছি। অশোক রায়ের ছেলে আমাকে ফোন করেছিল। পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টা দেখার জন্য বলেছি।’