বিরোধীরা ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট এনিয়ে আজ, সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাদের অবস্থান জানাতে বলেছে। কিন্তু কমিশন সূত্রের খবর, আইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ নেই। সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টের মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন বাড়ানোর নজির রয়েছে।
কমিশন পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষিত দিনক্ষণ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য আরও একদিন বাড়াতে পারে। আদালত এর বেশি সময় দিতে চাইলে সেক্ষেত্রে ভোট পিছোতে হবে। কারণ, মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর থেকে ন্যূনতম ২১ দিন এবং সর্বোচ্চ ৩৫ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। কমিশনের ঘোষিত দিনক্ষণ অনুযায়ী ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
কমিশনের কর্তারা বলছেন, পরিস্থিতির ভিত্তিতে আরও একদিন অর্থাৎ ১৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে সমস্যা নেই। মনোনয়পত্র পরীক্ষার দিন ১৭ জুন ঘোষিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আদালত মনোনয়ন জমার সময়সীমা এক দিনের বদলে দু’দিন বাড়াতে বললে ভোটের নির্ধারিত সময়সীমা বদলাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ভোটের দাবিও করছে বিরোধীরা। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে আজই আদালতকে কমিশনের অবস্থান জানাতে হবে। রাজ্য সরকার অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করতে চায়। প্রয়োজনে ভিন রাজ্যের পুলিশ আনতে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই। কিন্তু ৬১ হাজার ৬৩৬টি বুথে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করতে অন্তত দেড় লক্ষ পুলিশকর্মী দরকার।
এই বিশাল সংখ্যক পুলিশ কর্মী কি রয়েছে রাজ্যের, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটে ব্যবহার করা যাবে না। নবান্ন সূত্রের খবর, দু’টি রাজ্য থেকে পুলিশ আনার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। তবে ইতিমধ্যে অসম-সহ দু’টি রাজ্য পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে।