চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল মানিকপাড়ার সুমনা দাসের সঙ্গে চন্দ্রির আউসপালের বাসিন্দা অজয় দাসের। তাঁদের আড়াই বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত দু’মাস আগে সুমনা ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিবের কাছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে সুমনা জানিয়েছিলেন, স্বামী তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছে। এমনকী সন্তানের দেখভালের খরচও বহন করছে না।
গত ১২ এপ্রিল এই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রি-লিটিজেশন মামলা রুজু হয়। মঙ্গলবার সেই মামলার নিষ্পত্তি করে বিচারক সুনীলকুমার শর্মা । স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে দীর্ঘক্ষণ একে অপরের গুরুত্ব বুঝিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভাঙতে বসা সংসারে জোড়া লাগলেন বিচারক । স্বামীর হাত ধরে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যেতে পেরে খুশি স্ত্রী সুমনা দাস। সুমনা এদিন বলেন,”স্বামীর সঙ্গে আমার নানা রকমের অশান্তি ছিল । আজ তা সমাধান হলো খুবই ভালো লাগছে”। সুমনার স্বামী অজয় দাস বলেন,”বিয়ের পরে ১৫ দিনও সে বাড়িতে ছিল না । তার বাপের বাড়িতেই ছিল । শ্বশুর বাড়িতে থাকতে চাইতো না । মারধরের কোন ঘটনা নেই আমরা দু’জন এখন একসঙ্গে থাকব।”