Kanyashree Prakalpa: কন্যাশ্রীর টাকায় বড় উদ্যোগ, জেলার যক্ষ্মা রোগীদের পুষ্টি সামগ্রীর খরচ যোগাবেন ঝাড়গ্রামের অষ্টাদশী – jhargram hs passed girl decide to spend kanyashree scheme money for tb paitient treatment


কন্যাশ্রী টাকায় যক্ষা রোগীদের দায়িত্ব নিলেন ঝাড়গ্রামের এক ছাত্রী । কন্যাশ্রীর টাকায় প্রতিমাসে যক্ষা রোগীদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রীর যোগান দেবেন সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা এক ছাত্রী বিপাশা হাঁসদা । তিনি কলকাতার অশোক গেট গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন । এই বছরেরই কন্যাশ্রীর পঁচিশ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন বিপাশা । তার পরেই এই উদ্যোগ।

West Bengal Education Scholarship : ‘রাজ্য সরকার শিক্ষায় যা স্কলারশিপ দিয়েছে তা সর্বকালীন রেকর্ড…’, মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রীর

মানবদরদী এই ছাত্রীর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। বিপাশা ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবন চন্দ্র হাঁসদার কন্যা। সে বাবার কাছ থেকে জেনেছিল জেলায় কেন যক্ষা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । তার মূল কারণ হল পুষ্টির অভাব । যক্ষায় আক্রান্ত হলে তাদের পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত । সেই কথা মনে গেঁথে যায় বিপাশার। তাই তাঁর কন্যাশ্রীর টাকা দিয়েই যক্ষা রোগীদের দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি । এদিন বিপাশা বলেন, “বাবার কাছ থেকে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি মানুষের পাশে থাকার জন্য । আমি কন্যাশ্রী যে ২৫ হাজার টাকা স্কলারশিপ পেয়েছি সেই টাকা আমার কাছে না থাকলেও আমি পড়াশোনা করতে পারব । আমার পরিবার আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল । তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই টাকা দিয়ে যক্ষা রোগীদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী তুলে দেবো । আমি ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে এই ভাবেই মানুষের পাশে থাকতে চাই ।”

Pathashree Project : পথশ্রীতে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, তপ্ত গরমে পিচ রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় বর্তমান সময়ে ১৭৩৩ জন যক্ষায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন । তাদেরকে পুষ্টি সম্পূর্ণ খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার জন্য “নিক্ষয় মিত্র” প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই ৪০০ জন যক্ষা আক্রান্ত রুগী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং বাকিদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর । নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের মাধ্যমে বিপাশা ৩ জন যক্ষা রোগীর ৬ মাসের খাদ্য সামগ্রীর দায়িত্ব নেন । মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অফিসেই যক্ষা রোগীদের হাতে ডিমের ট্রে, মসুর ডাল, তেল, আটা এছাড়াও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তিনি । বিপাশা ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মানুষজন এবং চিকিৎসক ও নার্সরাও যক্ষা রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন । ঝাড়গ্রামের মুখ্য শাস্ত্র আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, “সচেতনতা মূলক প্রচারের মধ্য দিয়ে মানুষকে আমরা সচেতন করছি । যে সমস্ত ব্যক্তিরা যক্ষা রোগীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইচ্ছুক তারা নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের মাধ্যমে তাদেরকে আর্থিক সাহায্য বা পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে পারেন” । বিপাশার এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “আমার মেয়ের এই উদ্যোগে আমি অত্যন্ত খুশি” ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *