Panchayat Election : পঞ্চায়েত ভোটের আগেই লোডশেডিং গ্রামেগঞ্জে, চিন্তায় জোড়াফুল – trinamool congress is worry about loadshedding in villages ahead of panchayat election


এই সময়: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে গ্রামের দিকে ঘন ঘন লোডশেডিং শুরু হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ শাসক শিবিরে। উদ্বিগ্ন তৃণমূল নেতারা ঘন ঘন ফোন করছেন বিদ্যুৎ দপ্তরে। কেউ আবার মন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাচ্ছেন। এত কিছু সত্ত্বেও সমস্যার সুরাহা কিছুতেই হচ্ছে না। এই ইস্যুতে শাসক দলকে চেপে ধরতে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। লোডশেডিংয়ের সরকার বলেও কটাক্ষ শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

Suvendu Adhikari : ‘লোডশেডিংয়ের জন্য রাজ্য সরকার দায়ী’, বিদ্যুৎ দফতরে হানা দিয়ে দাবি শুভেন্দুর
জেলার তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করছেন, গরম পড়ার পর থেকেই প্রতিদিন গ্রামের দিকে দফায় দফায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও দিনে চার-পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। রাতের দিকেও রোজ নিয়ম করে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কোথাও আবার লো ভোল্টেজ দেখা দিচ্ছে। তীব্র গরম, তার উপর বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রামের মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে। দৈনন্দিন কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটছে।

Power Outage In Kolkata : বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে নাকাল নগরবাসী, যন্ত্রণা হেল্পলাইনও
সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে বহু কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। সাধারণ নিয়ম হলো, যখন বিদ্যুতের চাহিদা খুব বেড়ে যায় তখন সেই সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়। গ্রামের দিকে অনেকে হুকিং করে বিদ্যুৎ নেন। গ্রামাঞ্চলেও এসি’র সংখ্যা বর্তমানে বেড়ে গিয়েছে। তার জন্য অনেক ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, ঝড়বৃষ্টির কারণে তার ছিড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকায় অনেক সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

Adani Power Supply To Bangladesh : গরম-লোডশেডিংয়ে নাজেহাল ওপার বাংলায় স্বস্তি ফেরাচ্ছে আদানি! বিরাট ঘোষণা ভারতীয় শিল্পপতির
লোডশেডিংয়ের কারণ যাই হোক না কেন, তা নিয়ে ভোটের মুখে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, শহরের মতো এখন গ্রামের মানুষও পুরোপুরি বিদ্যুৎ নির্ভর হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের জন্য তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। ওই তৃণমূল নেতার কথায়, ‘অন্য সময় লোডশেডিং হলে হয়তো তেমন কোনও সমস্যা হতো না। কিন্তু সামনে ভোট আছে বলে লোকজন এটা নিয়ে হইচই করছে। এসব বন্ধ করতে না পারলে ভোটে বিরোধীরা এটাকে অস্ত্র করতে পারে।’

Power Cut in Kolkata : প্রবল গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট
কেন এত লোডশেডিং হচ্ছে, তার কারণ অনুসন্ধান করতে এদিন দুপুর আচমকাই সল্টলেক বিদ্যুৎ ভবনে ঢুকে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে বিরোধী দলনেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের সমাধান চেয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। সিএমডি দেখা করেননি। এর থেকে পরিতাপের আর কিছু হয় না।’ তাঁর দাবি, সরকার কয়লা কিনতে পারছে না। সেজন্যই এত লোডশেডিং হচ্ছে।

রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অবশ্য এই অভিযোগকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে আমাকে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। আমাদের রাজ্যে কোনও লোডশেডিং নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু এলাকায় কারিগরী কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের রাজ্যকে সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে। এর পর কেউ যদি তাদের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্য সরকারের কৃতিত্বকে খাটো করতে চান, তা হলে আমার কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *