মঙ্গলবার ক্যানিং বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা থেকে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তাঁদের সামনেও বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ হয় বলে অভিযোগ।
ক্যানিংয়ের মাটিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রক্ত ঝরল চলতি সপ্তাহের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে। প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে বলে অভিযোগ করা হয়। হাতাহাতির ঘটনায় বিজেপির বহু দলীয় কর্মী সমর্থকের মাথা ফেটেছে, হাত ভেঙেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে বিজেপি মনোনয়ন জমা দেওয়ার ভয়েই কি এই আক্রমণ, প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাহলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথা কি মানছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীরা? বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যদি শুনতেন পিসি ভাইপো রোজ ধমকান – এই করব, তাই করব। তারপর তো অপরাধ বেড়েই চলেছে। পুলিশের কোনও অস্তিত্ব নেই কোথাও। সেই পুলিশ নাকি আবার নির্বাচন করে দেবে এই ধরনের কথা শুনছি আমরা দেখতে পারছি নমুনা সব।”
ক্যামিংয়ের ঘটনা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “এটাই কী পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র? কীভাবে বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে আপনার দলের কর্মীরা।” ভয় দেখিয়ে মেরে বিজেপিকে আটকানো যাবে না বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি এই ঘটনার প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পড়বে বলে তিনি দাবি করেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণার পর নমিনেশন প্রক্রিয়ায় একাধিক জেলাতেই বিরোধীদের আটকানোর অভিযোগ উঠে আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। তবে খোদ তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলাতেই মঙ্গলবার বিজেপি ও আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে শাসক দলের কর্মীরা। তৃণমূলের নিচু তোলার কর্মীরা কতোটা নির্দেশ মেনে চলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।