এমনকি মহিলা আইএসএফ প্রার্থীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাসত ব্লক ২ এ সকাল থেকেই অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয় আইএসএফ, শাসক দলের মধ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়।
কীর্তিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী অসুস্থ থাকা সত্বেও তাঁর উপরে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে খুশি নয় প্রার্থী সহ তার অনুগামীরা। বিডিও অফিস চত্বরে দুপুর পর্যন্ত চাপা উত্তেজনা বজায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারাসত জেলাশাসক দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিল BJP, কংগ্রেস, CPIM এবং তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রতিনিধিরা। বৈঠকে নোটিফিকেশন নিয়ে আলোচনা করা হয়।।
পাশাপাশি মনোনয়ন পত্র কবে থেকে কবে পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে তা নিয়ে বৈঠক সারা হয়। এছাড়া নির্বাচনের আচরণ বিধি নিয়ে যেসব নিয়মাবলি আছে তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
তবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হতেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। এদিন ISF-এর এক কর্মী বলেন, ” আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই এসেছিলাম। ওঁরা প্রথমে আমাদের এসে বোঝায়। আমাদের দলের কয়েকজন মনোনয়নের জন্য এসে হাজির হতেই ওরা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমার মা অসুস্থ, তাঁকেও ধাক্কাধাক্কি করে।” এমনকি পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এই সপ্তাহের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিনেও একাধিক জেলা থেকে অশান্তির খবর উঠে আসতে থাকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় এলাকায় চূড়ান্ত অশান্তি, বোমাবাজির খবর উঠে আসে। একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে থাকে।