তিনি জানিয়েছেন, “নন্দীগ্রামের ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২ টা আমরা দখল করব। বাকি ৫ টা ত্রিশঙ্কু হবে। সেটা পরে আমরা দখল করব”। এদিন বাদ্যযন্ত্র সহকারে মিছিল করে নন্দীগ্রাম – ২ ব্লক অফিসের অদূর পর্যন্ত যান BJP কর্মী সমর্থকরা। তারপর নিয়ম মেনে BJP-র মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করে যান।
এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, “যেখানেই ভোট হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন৷ নো ভোট টু মমতায় আস্থা রাখছেন সাধারণ মানুষ”। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার অনেক জায়গাতেই বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি তৃণমূলের কর্মীরা। আমরা সব দেখছি। সব নজর রাখছি। এতটাই ওদের মধ্যে হারার ভয় যে মনোনয়ন জমা করতে দিতেও ভয় পাচ্ছে।
এর ফল ওরা পরের লোকসভা ভোটে টের পাবে। লোকসভা ভোটে মানুষ ওদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে সব সুদে আসলে মিটিয়ে দেবেন”। গত দু’বছর ধরে রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র নন্দীগ্রাম। একুশের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে এই আসনে জয়ী হন শুভেন্দু। তারপর থেকে শাসক বিরোধী, দু’দলের কাছেই নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে গিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেল শুভেন্দু অধিকারীরা। পালটা জবাব দেন শুভেন্দু। নব জোয়ার কর্মসূচিতে এসে শুভেন্দুকে একহাত নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জমে ওঠে কথার লড়াই।
একদিনে পঞ্চায়েত ভোট করার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে ৪২ হাজার পুলিশ দিয়ে ৭০ হাজার বুথে এক দিনে ভোট করাবে! এটা তো মৃত্যুকে ডেকে আনা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়বে’।
হুঙ্কার পালটা হুঙ্কারে ক্রমেই বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রামের। শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন পেশ হবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ ছিল অনেকেরই মনে। আর আজ মঙ্গলবার নিজে উপস্থিত হয়ে দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা করালেন শুভেন্দু।