মঙ্গলবার সকাল থেকে বিডিও অফিস চত্বরে আইএসএফ কর্মীদের মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় বোমাবাজি দিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। দিন শেষেও উত্তেজনায় ফুটছে ভাঙড়। এরই মধ্যে এদিন ঘটকপুরে হয় অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচিও। দিনভর অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত থেকে আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুপক্ষই জানিয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে একজনেরই গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর মিলেছে।
এদিন তৃণমুল নেতা আরাবুল ইসলাম, হাকিমুল ইসলাম সহ একাধিক তৃণমূল নেতা ও কর্মীর গাড়ি ও বাইক ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে। গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশকিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক প্রাণে বাঁচতে আশ্রয় নেন একটি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এদিন লাঠিচার্জের সঙ্গে সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেও নমিনেশনের কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
নওশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ,” বিরোধীরা যাতে নমিনেশন জমা দিতে না পারে তার জন্য পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। আমরা কর্মীদের আইন মেনে চলার কথা বলেছি। আজকের হামলায় যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কমিশন ও প্রশাসন ব্যবস্থা যাতে নেয় তার দাবি জানাচ্ছি।”
ভাঙড়ের বিধায়কের অভিযোগ অস্বীকার করে এলাকার দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ”নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়কে অশান্ত করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে অপরাধীদের নিয়ে এসেছিল মনোনয়ন জমা করতে। আজকের ঘটনায় প্রমান হয়ে গেল নওশাদ সিদ্দিকিই একজন দুষ্কৃতী।” বহু তৃণমূল কর্মী আহত ও গুলিবিদ্ধ বলে দাবি করেছেন আরাবুল ইসলাম। এদিন তাঁর ছেলের গাড়িতে বোমের উপস্থিতি নিয়েও উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি।