‘জাহাজ বাড়ি’-র মালিক সুফিয়ান কমিটি থেকে বাদ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নন্দীগ্রামে নির্দল কাঁটা এখন তৃণমূলের মাথাব্যথার সব থেকে বড় কারণ। সুফিয়ানের অনুগামীরা ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে সুফিয়ান অনুগামী অনেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। সেই কারণে রাজ্যের আর পাঁচটা এলাকার তুলনায়, সাংগঠনিকভাবে এখানে অনেক বেশি শক্তিশালী বিজেপি। ভোট ঘোষণার পর থেকে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে শুরু করেছেন। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। সুফিয়ান ভোট পরিচালন কমিটি থেকে বাদ পড়ায়, টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই তাঁর অনুগামীরা মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করেছেন বলে খবর।
গত বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন সুফিয়ান। কিন্তু ‘অজানা’ কারণে তাঁকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নের তৃতীয় দিন অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত নন্দীগ্রামের সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি গ্রাম সংসদের মধ্যে ১০টি, দাউদপুর পঞ্চায়েতের ১৭টি সংসদের সব ক’টিতে এবং কেন্দেমারি পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের ১৯টি আসনে ‘বিদ্রোহী’ সুফিয়ান অনুগামীরা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
যদিও এই নিয়ে মুখ খুললেত চাননি তৃণমূল নেতা শেখ সুপিয়ান। দাউদপুরের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ বলেন, ‘ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ সুফিয়ান ও তাঁর অনুগামীদের উচ্ছেদ করতে চাইছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে ওঁরা নিজেদের লোকেদের প্রার্থী করেছে। তাই আমরাও মঞ্চ তৈরি করে নন্দীগ্রামের গণতন্ত্র ও তৃণমূলকে বাঁচাতে চাইছি। ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সব আসনেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা থাকবেন।’ যদিও ব্লক সভাপতিকে ফোন করা হলেও তাঁর জবাব মেলেনি।
যদিও এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা ও তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রলয় পাল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর বিদ্রোহী প্রার্থীর তালিকা আরও লম্বা হবে।’ দায় নিতে রাজি নন জেলা তৃণমূল সভাপতি ও মন্ত্রীসৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আমাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। তার আগে কেউ মনোনয়ন জমা দিলে তার দায়ভারও তাঁকেই নিতে হবে।’