সোমে শূন্য, ৪ দিনে মাত্র ৩৬ মনোনয়ন, ভোটমুখী কেশপুরের ‘হঠাৎ ভোলবদলের’-এর রহস্য কী? – Wb Panchayat Election Keshpur Receive Only 36 Nomination In Last 4 Days


পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বাকি আর মাত্র দুই দিন। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা সামনে আসছে। নমিনেশন জমা দেওয়ার জন্য পড়েছে হুড়োহুড়ি। কিন্তু, একেবারে উলটো চিত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে।

বিগত চার দিনে (মঙ্গলবার বিকেল চারটে পর্যন্ত) কেশপুরে মনোনয়ন জমা পড়েছে মাত্র ৩৬টি। সোমবার পর্যন্ত কেশপুর বিডিও অফিসে নমিনেশনের সংখ্যা ছিল শূন্য। মঙ্গলবারই প্রথম ডি সি আর কেটে শুরু হয় নমিনেশন জমার প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার মোট ৩৬ জন মনোনয়ন জমা দেন কেশপুর বিডিও অফিসে।

Panchayat Election : পূর্ব মেদিনীপুরে শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন! তৃতীয় দিনেও শাসকদলের থেকে এগিয়ে বিরোধীরা
সেখানেও শাসক দল শত যোজন পিছনে। তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল কেশপুরে মনোনয়ন জমা দিয়েছে মাত্র তিনটি। যদিও শাসক দল তৃণমূলের দাবি, দলের তরফে অঞ্চল স্তরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রার্থী তালিকা। বুধবার সমস্ত অঞ্চল থেকেই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

একইভাবে BJP এবং সিপিএমের তরফেও জানানো হয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনে ১০০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন জমা দেবেন তাঁরা। তবে কেশপুরের বুকে এমন চিত্র কি আদৌ পরিচিত?

WB Panchayat Election 2023: দল প্রার্থী ঘোষণার আগেই মনোনয়ন জমা তৃণমূল কর্মীর! ব্যাপক শোরগোল কুমারগ্রামে
স্থানীয় মানুষজন কিন্তু অতীতের সঙ্গে এই কেশপুরের চিত্র মেলাতে পারছে না। স্থানীয়দের মতে, নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে প্রতিবারই উৎসবের মেজাজে দেখা যায় কেশপুরকে। মনোনয়নের নিরিখে এগিয়ে থাকে রাজ্য শাসক দল। এমনকী, গত নির্বাচনেও এই কেশপুরেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে।

Panchayat Election : কেশপুরে হুমকির জেরে প্রার্থী বদল সিপিএমের
সেক্ষেত্রে চলতি বছর কেন এই পরিস্থিতি?
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতির নেপথ্যে শাসক দলের ঘরোয়া ‘ঠুকঠাক’ অনেকাংশেই দায়ী। সম্প্রতি বারবার কেশপুর শিরোনামে উঠে এসেছে রাজ্য শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে। তবে কি এই কারণেই কেশপুর নিয়ে কিছুটা ‘ধীরে চল’ নীতি নিয়েছে তৃণমূল? যদিও এই বক্তব্য মানতে নারাজ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি।

Dilip Ghosh: ‘নমিনেশন না হলে যুদ্ধ কী করে হবে?’

তাঁর কথায়, “দলের কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা আছে। রাজ্য নেতৃত্বের মন্তব্য মেনেই মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে দলীয়কর্মীরা।” এদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দুই দিনে কেশপুরকে শান্ত রাখাই প্রশাসনেরকাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Panchayat Election : মনোনয়নে মার, পালটা মারে চড়ছে ভোট-পারদ
এই প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও বিডিয়ো অফিসের কর্মীদের একাংশের আশঙ্কা, শেষ দুই দিনে সমস্ত দল একসঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে অশান্তি বাঁধার সম্ভাবনা থাকে। যদিও কেশপুর বিডিও অফিস চত্বরে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রশ্ন উঠছে, চেনা চেহারা বদলে কি নয়া রূপে আত্মপ্রকাশ করবে কেশপুর?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *