২০০৮ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত কৃষ্ণা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগটাই তৃনমুলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৮ সালে প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করেন এই মহিলা নেত্রী। ২০১৩ সালে সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির আসনে লড়াই করে জয়লাভ করেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তাঁকে সারেক্ষার পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব দেয় দল।
তৃণমূলত্যাগী প্রধান কৃষ্ণা দত্তের দাবি, তাঁর ছেড়ে আসা দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি রয়েছেন। কিন্তু তাসত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের একাংশ চক্রান্ত করেছে। তাঁকে শেষ মুহূর্তে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি আশাবদী বিগত দিনে যে ভাবে মানুষের আশীর্বাদ তিনি পেয়েছেন এবারেও কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনবেন।
যদিও এই নেত্রীর দলত্যাগে চিন্তিত নয় বলেই জানিয়েছে শাসক শিবির। সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূলের দাবি, দলের তরফে ভাবনা চিন্তা করেই টিকিট দেওয়া হয়েছে। টিকিট না পেয়ে কেউ অন্য দলে চলে যেতেই পারেন। কিন্তু এতে এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।
দলত্যাগী তৃণমূল নেত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকে আমি দলের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু চক্রান্ত করে আমাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। দলীয় নেতৃত্বের একাংশই চক্রান্ত করে আমাকে টিকিট দেয়নি। আমি ১৫ বছর ধরে এই পঞ্চায়েতের দায়িত্বে ছিলাম। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, কারণ আমি তাদের জন্য কাজ করেছি। মানুষকে নিয়ে চলার চেষ্টা করি, সুখ দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমার বিশ্বাস কংগ্রেস থেকেও আমি জিতব। আরও অনেককে আমি কংগ্রেসে নিয়ে আসব।’
সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে সভাপতি সুব্রত মিশ্র বলেন, ‘দল এখন খুব কঠিন অবস্থান নিয়েছে। ভাবনা চিন্তা করেই সকলকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। তিনি টিকিট পাননি বলে অন্য দলে চলে গিয়েছেন। ওঁর মনে হয়েছে তাঁর গিয়েছেন। তবে এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। ভোটে মানুষের সমর্থন আমাদের দিকেই থাকবে।’