Calcutta High Court : ‘আর কত সময় লাগবে? অগ্রগতি কোথায়?’ কুন্তলের চিঠি মামলায় CBI-এর তদন্তে অসন্তুষ্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহা – calcutta high court justice amrita sinha is not happy with cbi investigation in kuntal ghosh recruitment scam case


বুধবার পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ও কুন্তল ঘোষের চিঠির মামলায় রিপোর্ট জমা পড়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এদিন রিপোর্ট জমা দিয়েছে CBI। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “আপনাদের আর কত সময় লাগবে? তদন্তে অগ্রগতি কোথায়? জেলের বাইরে কি CCTV বসেছে? কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কারা দেখা করতে আসছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব অভিযুক্ত কিছু স্বীকার করতে চায় না। কতদিন সময় লাগবে সত্য সামনে আনতে?”

Justice Amrita Sinha : ‘শ্লথ গতি, নতুন কোনও তথ্য নেই’, কুন্তলের চিঠি মামলায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে ED
ED-কে এদিন বিচারপতি বলেন, “আপনার অফিসাররা কি এই কাজে যথেষ্ট দক্ষ? গত সপ্তাহে ED-র রিপোর্টে একেবারেই খুশি হয়নি।”

এদিকে CBI-এর আইনজীবী বলেন, “কুন্তল ঘোষকে জেরা করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “কুন্তলের গায়ে আঘাতের চিহ্ন নেই। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি কুন্তলকে চেনেন না।”

Abhishek Banerjee Kunal Ghosh : ‘ভোটের চাপ নিতে পারছে না, তাই ED-CBI-কে নামাচ্ছে’, অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে কুণাল
এদিকে এদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় কুন্তল ঘোষের চলাফেরার উপর চালাতে হবে নজরদারি। তাঁর সেলের বাইরে CCTV ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। সংশোধনাগারের যে ফুটেজ রয়েছে আগামী ২০ জুলাই তা হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন, তাঁকে দলীয় নেতাদের নাম বলার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে ED। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং পরবর্তীতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলার তদন্তভার দিয়েছিল CBI-এর হাতে।

Abhishek Banerjee : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ ED দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না অভিষেক
কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা এর আগে ED-র এ রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘রিপোর্ট মোটেই সন্তোষজনক নয়।’ একটি মুখবন্ধ খামে বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই ED-র আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছিলেন, ” যে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে তা আগেই বলা হয়েছিল। পুরনো তথ্য পেশ করা হয়েছে। একটি অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে তা ছাড়া কোনও তথ্য নেই।”

Sukanta Majumdar: ‘অভিষেকের গ্রেফতারি সময়ের অপেক্ষা মাত্র’!

SSC Scam : একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: OMR কারচুপির ধরন কী? বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
সেই শুনানিতে ED-র আইনজীবী বলেছিলেন, এই ঘটনায় মূল তদন্ত করছে CBI। ফলে তাঁর উপর ভিত্তি করেই তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *