প্রদ্যুৎ দাস: এবার শহরের মাদার সহ যুব তৃণমূলে ভাঙ্গন। মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যা সহ বুথ সভাপতির দল বদল। দল বিরোধী কাজে যুক্ত স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূল বুথ সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন জমিপাড়া এলাকার বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা। ঘটনায় জলপাইগুড়িতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বিবেকানন্দ পল্লীতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলো মানুষ। একাকার তৃণমূল দলের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলী সরকার ওনার স্বামী প্রশান্ত সরকার সহ যুব তৃনমূল নেতা সুমন রায় এবং রঞ্জিত বিশ্বাস বিজেপিতে যোগদান করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রায় দু’শো কর্মী সমর্থক।
এই প্রসঙ্গে প্রশান্ত সরকার বলেন, অনেক চাপ আসছিলো। তৃণমূলে থেকে সাধারন মানুষের জন্য কোনও কাজ এলাকায় করা যায় নি গত পাঁচ বছরে।
অপরদিকে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব সৌজীত সিংহ বলেন, ‘আজ এলাকার যুব তৃণমূল নেতা সহ পঞ্চায়েত বিজেপিতে যোগদান করলেন’।
অপর এক বিজেপিতে যোগদান করা মহিলা তৃনমূল কর্মী আরতি বারুই জানান, ‘এলাকার কোনও উন্নয়ন করা যায় নি, এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম সবাইকে নিয়ে সবার উন্নয়নের পথে চলবো আমরা’।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: মাওবাদী পোস্টারে প্রাণে মারার হুমকি! পঞ্চায়েত ভোটের আগে চাঞ্চল্য জঙ্গলমহলে
অপরদিকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জমিদারপাড়া এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের ১৮/২২৯ বুথ সভাপতি শ্রী হরি মাতব্বর তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন। অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য, বুথ সভাপতিকে অন্ধকারে রেখে সমস্ত কাজকর্ম করেন বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তিনি অঞ্চল সভাপতি কাছে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। দলে থেকে সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে চান এলাকার এই তৃণমূলে নেতা। তবে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এভাবে দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে।