এদিন মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কালীঘাটের কাকু। অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর একটি ট্রাস্টে ছয় কোটি টাকার বাংলো দেওয়া হয়েছিল। এদিন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, “এই তথ্য একেবারে ভুল।” পাশাপাশি একটি অ্যাকাউন্টে এক কোটি নগদ জমা দিয়েছেন কোম্পানির, উঠেছে এই অভিযোগও।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পাঁচ বছর ধরে এই টাকা জমা দেওয়া হয়েছে তা কেউ বলছে না। শুধু ডিপোজিটটাই বলা হয়। উইড্রল-এর বিষয়ে কিছু বলা হয় না।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আর কোনও কথা নেই।” এদিন গাড়ির মধ্যে বসে মাস্ক খুলে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেও দেখা যায় কালীঘাটের কাকুকে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার পর সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সম্পত্তি প্রসঙ্গে মেজাজ হারান কালীঘাটের কাকু। তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল আম্বানি এবং আদানি প্রসঙ্গও। তিনি বলেছিলেন, “যদি আম্বানি আদানিদের কোটি কোটি টাকা থাকে এবং তা নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে সেক্ষেত্রে আমার বেলায় কেন প্রশ্ন উঠছে? আমার ২০০ কোটি যদি থাকে সেক্ষেত্রে কার কী?”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বেহালার বাসিন্দা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে আসা তাপস মণ্ডলের কণ্ঠে প্রথম উঠে এসেছিল কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গ। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, তাঁর সংস্থার ডিরেক্টরদের সঙ্গে কথা বলে একাধিক নয়া তথ্য উঠে এসেছিল। এরপর গত ৩০ মে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ED এবং তাঁর মন্তব্যে অসংগতি পাওয়ায় গ্রেফতার করা হয় সুজয়কৃষ্ণকে।
এদিকে কেন সুজয়কৃষ্ণকে ‘কালীঘাটের কাকু’ বলা হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং সুজয়কৃষ্ণ। তিনি বলেছিলেন, “কালীঘাটে না আমার বাড়ি না অফিস। সেক্ষেত্রে কেন এই নামে ডাকা হচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছি না।”
তাঁর গ্রেফতারির পর পরিবারের কিছু সদস্য দাবি করেছিলেন, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ একসময় RSS-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি, এই দাবিও করা হয়।