NEET UG 2023 Topper : এক চান্সেই NEET পাশ বাঁকুড়ার অর্ণবের, সাফল্যের রহস্য ফাঁস হবু ডাক্তারের – bankura simlapal student arnab pati came 19 in neet 2023


প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষা (NEET UG)-র ফলাফল। আর এই সর্বভারতীয় পরীক্ষাতেই চোখ ধাঁধানো ফলাফল করেছেন সিমলিপাল মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব পতি। গত মঙ্গলবার সর্বভারতীয় এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। NEET-এ ১৯ তম স্থান এবং রাজ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন অর্ণব। আর এই খবর সামনে আসার পরেই এলাকায় খুশির হাওয়া।

বরাবর চোখ ধাঁধানো ফলাফল করে এসেছেন অর্ণব। ২০২১ সালে তিনি মাধ্যমিক দিয়েছিলেন এবং তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯৭। রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। এরপর বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন অর্ণব। ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন তিনি এবং সেখানেও চোখ ধাঁধানো ফলাফল। ৪৯০ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থানে অধিকার করেছেন।

Justice Abhijit Ganguly : ‘এত বড় মাপের মানুষ, কিন্তু…’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি ফোনই বদলে দিয়েছে প্রেরণার জীবনদর্শন?
বোর্ডের পাশাপাশি অর্ণবের লক্ষ্য ছিল মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা। আর সেই লক্ষ্যে তিনি অধ্যাবসায় কোনও খামতি রাখেননি। দিনে প্রায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। অবসরে শুনতেন গান। প্রথম প্রয়াসেই নিট পাশ করেছেন তিনি। তাঁর বাবা চঞ্চল পতি জানান, ছেলে দক্ষ কার্ডিওলজিস্ট হওয়া স্বপ্ন দেখেন ছোটবেলা থেকেই।

HS Exam: সব বাধা পেরিয়ে…, চরম দারিদ্রের মধ্যেও উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় তিন কৃতী
অর্ণবের স্বপ্নের কলেজ দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট। এদিকে ছাত্রের সাফল্যে রীতিমতো অভিভূত সিমলাপাল মদনমোহন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার সিংহ মহাপাত্র।

তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। ওর সর্বভারতীয় মেডিক্যাল এন্ট্রান্সে ১৯ তম স্থান অধিকার করেছে। ও আমাদের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে পড়ছে। ছোট বেলা থেকেই ও অন্যান্য ছাত্রের থেকে আলাদা। ওর প্রতিভা দিয়ে বারে বারে প্রমাণিত করে এসেছিল যে জীবনে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। কোনওদিন ওকে ফাঁকি দিতে দেখিনি।”

IAS Sarjana Yadav: লাখ লাখ খরচ করে কোচিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নয়, IAS সরজানার সাফল্যের রহস্য় কী?
তিনি আরও বলেন, “ওকে বিভিন্ন রকমভাবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সাহায্য করেছেন। ও কিছু কোচিং নিয়েছিল। কিন্তু, কোনও সমস্যা হলেই স্কুলের শিক্ষকরা তাকে সাহায্য করতেন। দক্ষিণ বাঁকুড়ার কোনও ছাত্র এই প্রথম সর্বভারতীয় পরীক্ষায় এত ভালো ফল করল।”

এদিকে যাঁকে নিয়ে এত চর্চা সেই কৃতী ঠিক কী বলছেন? অর্ণবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অবশ্যই আমার অত্যন্ত আনন্দ হচ্ছে। এই ফলাফল অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। আমি পড়াশোনা করেছিলাম। নিজের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলাম। বাবা, মা, শিক্ষিক, শিক্ষিকারা অত্যন্ত সাহায্য করেছেন। তাঁদের দেখানো পথে হেঁটেই এই সাফল্য।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *