কেন্দ্রীয় সরকারের সি আর পি এফ মন্দিরে জুতো পড়ে প্রবেশ করার প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল। গত রবিবার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে কেন্দ্রীয় সরকারের সিআরপিএফ জওয়ান জুতো পড়ে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে এমনই অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তার প্রতিবাদেই ঠাকুরনগরের ধিক্কার মিছিল করল মমতা ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। এদিন তারা কালো ব্যাচ পড়ে ঠাকুরনগর ঠাকুর বাড়ি থেকে মিছিল শুরু করেন।
এদিন মিছিল ঠাকুরনগর বাজার ঘুরে ফের ঠাকুরবাড়িতে এসে শেষ হয়। মিছিল থেকে শান্তনু ঠাকুরকেও ধিক্কার জানানো হয়। তার বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা হয়। এ বিষয়ে মমতা ঠাকুর বলেন, “আজ ঠাকুরবাড়ি থেকে ধিক্কার মিছিল শুরু হল আগামীকাল বনগাঁয় হবে। পরবর্তীতে রাজ্যজুড়ে এই প্রতিবাদ ধিক্কার মিছিল হবে।”
রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বর্তমানে ঠাকুরবাড়ির অন্দর মহলও দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন মতুয়া সমাজ, অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বালা ঠাকুরের নেতৃত্বে বিরোধী গোষ্ঠী। ঠাকুর বাড়ির উত্তাপ আরও বাড়ে গত ১১ তারিখ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সফরকে কেন্দ্র করে।
ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরে সেদিন ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে অভিযোগ। দুই দলের বচসার মাঝে সেদিন মূল মন্দিরে প্রবেশ করে যান শান্তনু ঠাকুর। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সেদিন শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী জুতো পড়ে মন্দিরে ঢুকে অন্যায় করেছেন বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। এখানেই শুরু বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে আগেই টুইট করেছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি দিয়ে টুইট করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান অভিষেক।