তাই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন। এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাকা রাস্তা এবং স্থায়ী দুটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই মর্মে বাসিন্দারা দীর্ঘ নয় মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রশাসন এবং কোনও জন প্রতিনিধিরা তাঁদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত বঞ্চনার পর আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাধাকান্তপুর বুথের প্রায় ১৫০০ ভোটার ভোট দান থেকে বিরত থাকবেন। কারণ একটাই, আগে উন্নয়ন পরে ভোট। এই দাবি নিয়ে তাদের তিনটি গ্রামের সর্বদলীয় ভাবে কেউই কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রার্থী হওয়ার মনোনয়ন পত্র জমা করবেন না।
এমনকি বাসিন্দাদের অভিযোগ স্থানীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি পর্যন্ত ক্ষমতায় রয়েছে BJP। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের ছায়াটুকু এসে পড়েনি এই দুর্গম এলাকায়। কার্যত গোটা এলাকা জুড়ে ভোট বয়কটের ডাক পড়তেই শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী শিবিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এই বিষয়ে হবিবপুর ব্লক BDO সুপ্রতিক সাহা জানান, “গ্রামের রাস্তা, ব্রিজের দাবি দীর্ঘদিনের। এই কাজটি পি ডব্লু ডি কর্তৃপক্ষের সম্পন্ন করার কথা। তবে কিছু সমস্যার জন্য কাজটা এখনও হয়নি”। তবে ভোট দেওয়া থেকে যাতে গ্রামের মানুষ বিরত না থাকে সেই বিষয়ে ভোট বয়কট না করার আবেদন জানান BDO। যদিও স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, “ভোট আমরা দেব না।
অনেকবার অনেক জায়গায় বলেছি। কাজ হয়নি। এবার দেখি আমাদের কে জোর করে ভোট দেওয়াতে পারে”। BJP-র স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা বিরোধীরা এই পঞ্চায়েতের দখল নেওয়ার রাজ্য সরকারের থেকে কোনোরকম সহায়তা পাইনি। চেষ্টা করছি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর”।