মঙ্গলবার প্রায় হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “প্রার্থী না হতে পারলে মন কষাকষি থাকতে পারে। কিন্তু দলের বিরোধিতা করে নির্দলে দাঁড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে দল”। বললেন ডেপুটি স্পিকার। যদিও মঙ্গলবার কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “জেলায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই”।
কিন্তু তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাওয়ার পর থেকে বেশ চাপে রয়েছেন কোর কমিটির সদস্যরা। পরোক্ষ ভাবে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গতেই এক প্রকার সিলমোহর দিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “প্রার্থী না হতে পারলে মন কষাকষি হতে পারে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে।
কিন্তু তাই বলে দল বিরোধী কাজ কর্ম করা যাবে না। দলের বিরোধিতা করে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ালে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে দল। কোনও কিছু বরদাস্ত করা হবে না। সব কিছুই দেখছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব”। আর ঠিক এই বক্তব্যকেই ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরুর আগে হুঁশিয়ারি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কয়েকদিন আগেই জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা ঘুরিয়ে স্বীকার করেছেন তারকা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। গোরু পাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। আসানসোল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সুদূর দিল্লিতে। তাঁর অনুপস্থিতিতে ভোটমুখী বীরভূমে তৃণমূলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে, কার্যত তা স্বীকার করে নেন বীরভূমেরই সাংসদ শতাব্দী রায়।
দলীয় সভায় সেই নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা যায় তাঁকে। সেখানে শতাব্দীকে বলতে শোনা যায়, ‘দু-একজন যদি মনে করেন, কয়েক জনকে নিয়ে গ্রুপ তৈরি করবেন, তাহলে এঁদের সমান হতে পারবেন না। যদি চালাক হন বা বুদ্ধিমান হন, তাহলে এই স্রোতেই ভাসবেন। উলটো স্রোতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না’।