জানা গিয়েছে, ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তেই তড়িঘড়ি সেখানে এসে উপস্থিত হন রেলকর্মীরা। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে? তা খতিয়ে দেখা হয়। তবে এখনও কারণ স্পষ্ট নয়। কোনও যাত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
তবে ধোঁয়া নির্গত হওয়ার বিষয়টি নজরে আসার পরেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যান ইঞ্জিয়াররা। কী কারণে নির্গত হচ্ছে ধোঁয়া তা খতিয়ে দেখা হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ট্রেনটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কিনা তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার পর গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।
উল্লেখ্য, গত মাসের ২৮ তারিখও ভারত বাংলাদেশের বন্ধন এক্সপ্রেসের চাকা থেকে ধোঁয়া নির্গত হতে দেখার ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। হাবড়া প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের পিছন কামরার চাকা থেকে একইরকমভাবে ধোঁয়া নির্গত হয়ে দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরেই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হন যাত্রীরা।
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছিল রেলের চাকার ব্রেক থেকেই ধোঁয়া নির্গত হচ্ছিল। কিন্তু, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পরপর এই ধরনের ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, কলকাতা-খুলনা এক্সপ্রেসকেই বন্ধন এক্সপ্রেস হিসেবে সম্বোধন করা হয়।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য অনেক মানুষের ভরসা বন্ধন এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটির পাশাপাশি ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেসও। দুই দেশের নাগরিকরা এই ট্রেনদুটি ব্যবহার করেন একদেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ওডিশার বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইনে থাকা একটি মালগাড়িকে ধাক্কা দিয়েছিল ট্রেনটি। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৭৫ জনেরও বেশি যাত্রীর, আহত হয়েছিলেন ১০০০ জনেরও বেশি। ঘটনার বিভীষিকায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ।
ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে দশ লাখ এবং আহতদের ২ লাখ ও অল্প আহতদের ৫০ হাজারের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয় রেলের তরফে।