CPIM ISF Alliance: জোটে না থেকেও জাঙ্গীপাড়ায় উলটো ছবি, হাত মেলাল CPIM-ISF


পঞ্চায়েতে সিপিআইএম আইএসএফ জোট না হলেও হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতে হাত মেলাল দুই শিবির। এবার জাঙ্গীপাড়ার ফুরফুরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতে আসন সমঝোতা হল সি পি আই এম ও আই এস এফের মধ্যে। ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৯ টি আসনের মধ্যে সিপিআইএম ১৫ টি এবং আই এস এফ ১৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে দলের তরফে সিদ্ধান্ত। যদিও এই জোটে ভোটে কোন প্রভাব পড়বে না বলে দাবি তৃণমূলের।

গত বিধানসভা ভোটের আগে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে আইএসএফ এবং তারপর থেকেই নয়া এই রাজনৈতিক দলটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের কাছে। কারণ সেই দলের প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি ফুরফুরার স্বনামধন্য পীরজাদা। এই পরিচিতিকেই কাজে লাগিয়ে রাজ্যের শাসক দলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ। বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করে “ভাঙড়” বিধানসভায় জয়লাভ করে আই এস এফ। যদিও বামেদের আশানুরূপ ফল হয়নি রাজ্যে। তাতেই আরও বেশি করে চোখে পড়েছে আইএসএফ-এর সাফল্য।

WB Panchayat Election Violence: এবার নাকাশিপাড়া, অনুগামী সহযোগে বন্দুক উঁচিয়ে ‘দাদাগিরি’ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের

এরপর থেকে আস্তে আস্তে তাদের রাজনৈতিক জমি শক্ত করেছে আইএসএফ। একাধিকবার রাজ্যের শাসক দলের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে তারা। বর্তমানে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন ঘিরে ভাঙ্গড় , ক্যানিং সহ একাধিক জায়গায় শাসক দলের সঙ্গে আই এস এফ এর সংঘর্ষের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। কারণ এইসব জায়গাতে যথেষ্ট শক্তি বাড়িয়েছে আইএসএফ। এরপর প্রকাশ্যে বামেদের সাথে আইএসএফের রাজনৈতিক জোট না হলেও ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যেখানে আই এস এফের জন্ম হয়েছে, এবার সেখানে আসন সমঝোতা করে রাজনৈতিক ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে দুই দল। তৃণমূলের দখলে থাকা ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৯ টি আসনের মধ্যে ১৫ টি তে লড়াই করবে সিপিআইএম এবং ১৪ টি তে লড়াই করবে আইএসএফ ।

WB Panchayat Election : ডোমকলকে বোমকল হতে না দেওয়াটাই রাজীবের কাছে চ্যালেঞ্জ

এ বিষয়ে ফুরফুরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সি পি আই এম এর প্রাক্তন প্রধান পবিত্র সিংহ রায় বলেন, ”রাজ্য নেতৃত্ব বলেছিল তৃণমূল বিরোধী যে সমস্ত শক্তি আছে তাদেরকে একজোট করে নির্বাচনের লড়াই করতে। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়েই ফুরফুরায় আমরা জোট করেছি। গ্ৰামে চোরেদের তাড়িয়ে দুর্নীতি মুক্ত সরকার গঠন করতে এবারে নির্বাচন হচ্ছে। আই এস এস হুগলি জেলা সভাপতি লক্ষীকান্ত হাঁসদা বলেন, ”জোট নিয়ে রাজ্য কমিটির কোন বার্তা ছিল না, কিন্তু এলাকার মেহনতি মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে জোট চাইছে,তাই একের পিঠে এক প্রার্থী দিয়ে লড়াই করা হবে।”

CPIM Congress Alliance : জেলায় জেলায় প্রার্থী ঘোষণা বামেদের, শুরুতেই ধাক্কা জোটে? কী বক্তব্য অধীর-সুজনের?

শ্রীরামপুর হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরিন্দম গুইন এ বিষয়ে জানান, ”এতে কোন এফেক্ট পড়বে না। কারণ ওখানকার মানুষ আগেও তৃনমুলকে জিতিয়েছে। বামেরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে একাধিকবার বিভিন্ন দলের সঙ্গে জোট করেছে তাই এই জোটে কিছু লাভ হবে না। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে আছে, তৃণমূলের পক্ষে আছে।”

সিপিআইএম দলের প্রার্থী গুলনাজআরা বেগম বলেন, ”জোট করে লড়াই করলে এখানে ভালো হবে। কারন এখানে কোন দিনই আমরা উন্নয়নের সুবিধা পাইনি। আমরা জিতলে এলাকায় উন্নয়নে জোর দেবো।”

West Bengal Panchayat Election : পঞ্চায়েতে পাখির চোখ নন্দীগ্রাম! শুভেন্দুর গড়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মনোনয়ন শুরু BJP-র

উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল অব্দি ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েত বামেদের দখলে ছিল। ২০১৮ সালে ফুরফুরা গ্ৰাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে তৃণমূল। এবারে পঞ্চায়েতের ২৯ টি আসনে সিপিআইএম ও আইএসএফ আসন সমঝোতা করে লড়াইয়ে নেমেছে।

Nawsad Siddique: ‘মনোনয়ন দিতে পারছি না’! নবান্নে ‘ভাঙড়ের জনপ্রতিনিধি’ নওশাদ!

সিপিআইএম হুগলি জেলার সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ জানান, শাসকদলের বিরুদ্ধে ফুরফুরা ছাড়াও জাঙ্গিপাড়া ব্লকের মুণ্ডুলিকা ও কোতুলপুর পঞ্চায়েত এলাকাতেও সিপিআইএম ও আইএসএফ আসন সমঝোতা হয়েছে। পাশাপাশি চন্ডীতলার আঁইয়া, ভগবতীপুর,নবাবপুর পঞ্চায়েতে আই এস এস ও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে।।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *