এদিকে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের জেরে বৃষ্টিপাত হলেও অস্বস্তিকর গরম দক্ষিণবঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দক্ষিণবঙ্গে কবে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা?
বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়, ১৮ থেকে ২১ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে মৌসুমী বায়ু। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত অস্বস্তিকর গরম অব্যাহত থাকবে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর দক্ষিণবঙ্গে অনেকটাই দেরিতে প্রবেশ করছে বর্ষা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, এর আগে পাঁচ বছর আগে ২২ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। ২০২২ সালে রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ১৮ জুন।
আবহাওয়াবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আরব সাগরে অবস্থিত ঘূর্ণাবর্ত বিপর্যয়ের জন্য গোটা দেশে মৌসুমী বায়ু প্রবেশের ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের কথায়, গুজরাট উপকূল দিয়ে প্রবেশের সময় দুর্বল হয়ে পড়তে পারে সাইক্লোন বিপর্যয় এবং তা রাজস্থানের উপর অবস্থান করতে পারে। সেই সময় বঙ্গোপসাগরের উপর সক্রিয় হতে পারে দক্ষিণা বাতাস এবং নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। আর এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা।
এদিকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে অস্বস্তিকর গরম থাকতে পারে, পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এমনটাই। যদিও উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা এবং দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে রয়েছে ভূমিধসের সতর্কতাও।
উত্তরবঙ্গে আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার-এই পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ভারী এবং কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। মালদা, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানে ১৮ তারিখ পর্যন্ত থাকছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। ১৮ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। এরপর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে এবং বর্ষা প্রবেশের মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে।