এরকমই দুর্বিষহ অবস্থা হয়ে উঠল এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায়। গতকাল বুধবার গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন দেখা দিল কালনায়।
বৃহস্পতিবার সকালে কালনার কৃষাণ মান্ডিতে হাট কালনা পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য রিপন মণ্ডল ও কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য মাধব মাঝির নেতৃত্বে হাট কালনা, কৃষ্ণদেবপুর, ধাত্রীগ্রাম, নান্দাই, অকালপোষ পিন্ডিরা সহ বেশ কিছু জায়গার প্রায় দুই হাজারের বেশি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসের যোগদান করলেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির মেম্বার তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রদেশে কংগ্রেস সম্পাদক মনোজ সাহা, জেলা কার্যকরী সভাপতি বুলবুল আহমেদ, মহকুমা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল সহ কংগ্রেসের পদাধিকারীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কংগ্রেসে যোগদান করলেন এদিন।
এই বিষয়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া রিপন মণ্ডল বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতি ও স্বজনপোষণে ভরে গিয়েছে। এর থেকে আমরা সবাই মুক্তি পেতে চাইছিলাম। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। তবে কোনও লোভে যোগ দিইনি। লোভের জন্য যোগ দিলে কয়েকজন যোগ দিতাম। প্রায় ২০০০ মানুষ যোগ দিতেন না। আমাদের মধ্যে টিকিটের লোভ নেই। প্রার্থী হতে চাইনা। যদি দল চায় তো দাঁড়াবো।”
প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না। এটাই তার সব থেকে বড় উদাহরণ। সাম্প্রতিককালে এত বড় দলত্যাগ গোটা বাংলা দেখেনি। কালনা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে এই পঞ্চায়েত ভোটের ইতিহাসে।”
যদিও এই দলত্যাগকে বড় করে দেখতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। কালনার স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, “যারা গিয়েছেন তাঁরা দলের একনিষ্ঠ কেউ ছিলেন না। দলের সঙ্গে তাঁদের সেরকমভাবে যোগাযোগ ছিল না। এভাবে কংগ্রেস শুধু চমক দিতে চাইছে। কিন্তু রাজ্যে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই। এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।”