আবার রাজুকেও কয়লা পাচার মামলায় সাক্ষ্য দিতে তলব করা হয়েছিল। ফলে কয়লা পাচারের সঙ্গে এই খুনের যোগ রয়েছে। তাই দ্রুত কেস ডায়েরি-সহ যাবতীয় নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে হবে রাজ্যকে। চার মাস পরে সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে হবে। যদিও রাজ্য সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি জানায়।
নরেন্দ্র খারকা নামে একদা রাজুর ব্যবসার সঙ্গীর দায়ের মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইতিমধ্যে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে। অথচ রাজ্য পুলিশ বলছে তাঁর নাম এফআইআরে নেই। খুন হওয়া রাজু ঝা ও মামলাকারী, দু’জনই সিবিআইয়ের কয়লা পাচার মামলায় সাক্ষী।
বিচারপতি মান্থার বক্তব্য, রাজু কয়লা মামলায় চার্জশিটে অভিযুক্ত না হলেও ২০১৫ থেকে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। যেহেতু কয়লা, গোরু পাচারের তদন্ত সিবিআই করছে, আর তার মধ্যেই এই খুন–তাই সব ঘটনার যোগ রয়েছে বলে মনে করার কারণ রয়েছে। বিচারপতির আরও যুক্তি, এই খুনের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে না গেলে কয়লা পাচার মামলার তদন্তও ধাক্কা খাবে।
বুধবার আদালতে কেন্দ্রের এএসজি রিপোর্ট জমা দিয়ে বলেন, কয়লা পাচার ও রাজু ঝা খুনের মধ্যে খুব গভীর যোগ আছে। তাই তদন্ত হাতে নিতে প্রস্তুত। অন্য দিকে, রাজ্য যুক্তি দেয়, খুনের ঘটনার কিনারার খুব কাছে পৌঁছে যাওয়া হয়েছে। এখন তদন্ত হস্তান্তর করা হলে তদন্ত ধাক্কা খাবে। কিন্তু এই বক্তব্যে আমল দেয়নি আদালত।