তিনি জানান, কলকাতা পুলিশকে এসকর্ট দিয়ে হাইকোর্টে হাজির থাকা বিরোধী প্রার্থীদের এখনই মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে নিয়ে যেতে হবে। হাইকোর্টে আসা বিভিন্ন এলাকার বিরোধী প্রার্থীদের বসিরহাট, ক্যানিং, ভাঙড়, কাশীপুর পৌঁছতে কলকাতা পুলিশকে সুরক্ষা দিতে হবে। তাঁরা যাতে মনোনয়নস্থলে সময়ের মধ্যে পৌঁছতে পারেন, সেই জন্য এই ব্যবস্থা রাজ্যকে করতে হবে।
হাইকোর্টে উপস্থিত সমস্ত প্রার্থীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছতে হবে। বাকি প্রার্থীরা এলাকার থানা এবং কোথাও পুলিশ সুপারের অফিসে এখনই হাজির হবেন। তাঁদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যাবে।
এই নির্দেশে রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কটাক্ষ, “পুলিশের জন্য আপনার উদ্বেগকে বাহবা দিয়েও বলছি সংবিধান রক্ষার স্বার্থে কলকাতা পুলিশ এসকর্ট করে তাদের গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। এটা জরুরি।” গতকাল সকাল ৯টা থেকে এদিন সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত যেখানে ভোটের মনোনয়ন জমা নিয়ে গোলমাল হয়েছে, সেই সব থানার ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে, নির্দেশ আদালতের।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বাম এবং BJP। বৃহস্পতিবার এই মামলা ওঠে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। তিনি এই মামলায় রীতিমতো নজিরবিহীন নির্দেশ দিলেন।
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় অশান্তির ঘটনা এবং ক্যানিংয়ের পাশাপাশ বসিরহাটে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, এই বিষয়টিকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বাম এবং BJP। সেই মামলা ওঠে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে। এবার এই মামলার প্রেক্ষিতেই কার্যত নজিরবিহীন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আজই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি করেছিলেন তাঁরা। রাজ্যের স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার তারিখ বাড়ানো হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছেড়েছিল আদালত। তবে এই সম্পর্কিত কোনও নির্দেশ এখনও জানায়নি কমিশন।