উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলার মহানন্দা অভয়ারণ্য, আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান,বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপরামারি অভয়ারণ্য। গরুমারা বন্যপ্রানী বিভাগের অন্তর্গত নেওরাভ্যালি জাতীয় উদ্যানে আগামী তিনমাস পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবেন না।
রাজ্যের প্রতিটি জঙ্গলের জন্য একই নিয়ম বলবৎ ছিল। সেক্ষেত্রে সুন্দরবনের ক্ষেত্রেও জঙ্গলে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। ডুয়ার্স মানেই জঙ্গল আর এই বর্ষার সময়ে বন্যপ্রাণীর প্রজননের যাতে কোন রকম সমস্যা না হয় সেই জন্যই এই সময় জঙ্গল পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ থাকে।
গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৬ জুন থেকে তিনমাস জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে । এই জুন থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত সময় বর্ষাকাল বন্যপ্রানীদের প্রজনন ঋতু তাই তাদের বন্যপ্রাণীদের যাতে কোন রকম অসুবিধা না হয় তাই বহিরাগতদের অর্থাৎ পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশ নিষেধ থাকে প্রতিবছরই। তাছাড়া জঙ্গলের ভেতরের রাস্তা গুলি কাঁচা থাকায় এই বর্ষার সময় যানবাহন চলাচল করলে আরও খারাপ হবে তাই সেই বিষয়টাও মাথায় রাখা হয়।
জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের ভেতরের থাকা সব কটি বনবাংলো বন্ধ থাকলেও জঙ্গলের বাইরে থাকা ধুপঝোরা, কালীপুর ইকোভিলেজ খোলা থাকবে পর্যটকদের জন্য।গরুমারা জাতীয় উদ্যানের কালিপুর ইকোভিলেজ, ধুপঝোড়া গাছবাড়ি যেহেতু জঙ্গলের বাইরে তাই সেখানে পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবে।
১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে নিয়ম মাফিক উত্তরবঙ্গের জঙ্গলগুলোতে সাফারি বা পর্যটকদের প্রবেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বন দফতর। সেক্ষেত্রে ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই জঙ্গল পুনরায় পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বন দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ প্রেমীরা।
তবে অন্যান্য বছরের ন্যায় এই বছর এই তিন মাসের সময়টুকু পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে ভিন্ন রুটের কথা ভাবা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে জঙ্গল বন্ধ থাকার কারণে পর্যটন ব্যবসায় অনেকটাই প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে যাতে অন্য রুট পরিচালিত করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে বন দফতর। কোদালবস্তি সিসি রুট, মাদারিহাটে ট্রলি লাইন, জয়ন্তী নদী পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভাবা হতে পারে।