রাজভবন থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, সারাদিনের ভাঙড়ের ঘটনা লক্ষ্য করেছেন রাজ্যপাল। পুরো ঘটনায় তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এমনকি অনেক জায়গায় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও আক্রান্ত হওয়ার চূড়ান্ত নিন্দা প্রকাশ করেছেন তিনি। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার তিনি ভাঙড় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, গনতন্ত্রের জন সাধারণ সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী। নির্বাচনী অধিকার প্রয়োগ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাদের। ভয়হীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার রয়েছে মানুষের। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও জায়গা নেই। শান্তি ও সম্প্রীতি মানুষের অধিকার। সেক্ষেত্রে দিনভর ভাঙড়ের ঘটনা গণতন্ত্রকে কলুষিত করেছে বলেই জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পর্বের মধ্যে সারা দিনে একাধিক সংঘর্ষ হয় ভাঙড়ে। এদিন মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লা নামে এক ISF কর্মীর মৃত্যুর খবর উঠে আসে। তাছাড়া রশিদ মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। সর্বশেষ খবর একাধিক ব্যক্তি আহত হয়ে জেলা ও কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
সারাদিন গোটা ভাঙড় জুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়। মারামারি, বোমাবাজি ভরে ওঠে এলাকা। স্থানীয়রা জানান, এদিন সকালে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় ISF কর্মীরা তৃণমূলের আক্রমণের মুখে পড়েন। দুই তরফের বচসা এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। ISF প্রার্থীরা ভাঙড় ২ বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার পরেই গণ্ডগোল শুরু হয়।
দুই পক্ষের অশান্তি থামাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর জন্য নির্দেশ দেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় চরম রাজনৈতিক তরজা। একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়েছে তৃণমূল এবং ISF। গোটা বিষয়টি নিয়ে এদিন মন্তব্য করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।