West Bengal Panchayat Election : ৫৮ বছর ধরে অপরাজিত, ৮৮-র গোপাল ফের প্রার্থী – daspur candidate who stood as a candidate in panchayat elections for 58 years and was not defeated


এই সময়, দাসপুর: শুরু করেছিলেন ৫৮ বছর আগে, সেই ১৯৬৫ সালে। সে বছর থেকে এ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কখনও হারেননি দাসপুরের গোপালচন্দ্র নন্দী। কখনও গ্রাম পঞ্চায়েত, কখনও পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। এ বারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ছেন তৃণমূলের টিকিটে। বয়স এখন ৮৮। দৃঢ় বিশ্বাস, এ বারও অপরাজিতই থাকবেন। ২০১৮-য় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ ব্লকের নন্দনপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দনগর সংসদ থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলেন। এ বারও তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। লড়ছেন দাসপুর-১ ব্লকের গোবিন্দনগর পশ্চিম বুথ থেকে।

Bankura Panchayat : টিকিট না পেয়ে গোঁসা! তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ শাসকনেত্রীর
দাসপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুকুমার পাত্র বলেন, ‘গোপালচন্দ্র নন্দী অত্যন্ত সৎ মানুষ। ১৯৬৫ থেকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন। কখনও হারেননি। দল এ বারও তাঁকে প্রার্থী করেছে।’ মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গোপালচন্দ্র।

Panchayat Election : পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক
বৃদ্ধ প্রথমে ছিলেন কংগ্রেসে। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল গড়ার পর থেকে তৃণমূলেই। বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনেও হারের মুখ দেখেননি। পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্বও সামলেছেন বেশ ক’বছর। ২০১৩-য় পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতে বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ হন। ২০১৮-য় ফের গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়। মজার বিষয় হসলো, কোনও জয়ই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নয়।

Panchayat Election Candidate Eligibility : সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে রেশন দোকান মালিক, এই ১৮ পেশায় যুক্তদের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়া হবে না
৮৮ বছরের ‘যুবক’ বলেন, ‘রাজনীতিতে বিধানচন্দ্র রায়, অজয় মুখোপাধ্যায়দের সান্নিধ্য পেয়েছি। মানুষের পাশে থেকে কাজের চেষ্টা করেছি। মানুষও আমাকে ভালোবাসে।’ বাবা হরিপদ নন্দীর হাত ধরে তিনি নাকি সামিল হয়েছিলেন ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনেও। ২৫ বছর টানা পঞ্চায়েত সদস্য থাকার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯-এ কেন্দ্রের কাছ থেকে শংসাপত্র পেয়েছেন গোপালচন্দ্র।

Panchayat Election : ‘তৃণমূল, BJP-কে হারাতে এগিয়ে আসবেন’, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর মন্তব্য সুশান্তের
পরনে খদ্দরের বুশ শার্ট, উঁচু করে পরা ধুতি পরা লোকটাকে একডাকে চেনেন এলাকার মানুষ। দিন কয়েক আগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের এই প্রবীণ কর্মীকে প্রণাম করেন, খোঁজখবর নেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক মাইতি, অসিত ঘোষ, রীতা সামন্তরা বলেন, ‘আজীবন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন গোপালচন্দ্র। এলাকায় সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত। সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন, মানুষও ওঁকে ভালোবাসে।’ সাত ছেলে, বৌমা, নাতি-নাতনিরা বৃদ্ধকে রাজনীতির পথে বাধা তো দেনইনি, উল্টে তাঁরা রয়েছেন গোপালচন্দ্রর পাশে। তাঁদের উপলব্ধি – ‘মানুষের সঙ্গে কাজের মধ্যে আছেন বলেই উনি ভালো আছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *