দাসপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুকুমার পাত্র বলেন, ‘গোপালচন্দ্র নন্দী অত্যন্ত সৎ মানুষ। ১৯৬৫ থেকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন। কখনও হারেননি। দল এ বারও তাঁকে প্রার্থী করেছে।’ মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গোপালচন্দ্র।
বৃদ্ধ প্রথমে ছিলেন কংগ্রেসে। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল গড়ার পর থেকে তৃণমূলেই। বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনেও হারের মুখ দেখেননি। পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্বও সামলেছেন বেশ ক’বছর। ২০১৩-য় পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতে বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ হন। ২০১৮-য় ফের গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়। মজার বিষয় হসলো, কোনও জয়ই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নয়।
৮৮ বছরের ‘যুবক’ বলেন, ‘রাজনীতিতে বিধানচন্দ্র রায়, অজয় মুখোপাধ্যায়দের সান্নিধ্য পেয়েছি। মানুষের পাশে থেকে কাজের চেষ্টা করেছি। মানুষও আমাকে ভালোবাসে।’ বাবা হরিপদ নন্দীর হাত ধরে তিনি নাকি সামিল হয়েছিলেন ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনেও। ২৫ বছর টানা পঞ্চায়েত সদস্য থাকার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯-এ কেন্দ্রের কাছ থেকে শংসাপত্র পেয়েছেন গোপালচন্দ্র।
পরনে খদ্দরের বুশ শার্ট, উঁচু করে পরা ধুতি পরা লোকটাকে একডাকে চেনেন এলাকার মানুষ। দিন কয়েক আগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের এই প্রবীণ কর্মীকে প্রণাম করেন, খোঁজখবর নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক মাইতি, অসিত ঘোষ, রীতা সামন্তরা বলেন, ‘আজীবন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন গোপালচন্দ্র। এলাকায় সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত। সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন, মানুষও ওঁকে ভালোবাসে।’ সাত ছেলে, বৌমা, নাতি-নাতনিরা বৃদ্ধকে রাজনীতির পথে বাধা তো দেনইনি, উল্টে তাঁরা রয়েছেন গোপালচন্দ্রর পাশে। তাঁদের উপলব্ধি – ‘মানুষের সঙ্গে কাজের মধ্যে আছেন বলেই উনি ভালো আছেন।’