জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিভিন্ন সময়ে অসাধারণ সব ব্য়াটারদের দেখেছে বাইশ গজ। কিন্তু একটা নাম বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে। ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’ সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। তিনি সবার থেকে আলাদা। ২৪ বছরের বর্ণময় কেরিয়ার। ১০০ সেঞ্চুরির মালিক সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন। যেসব বোলারদের দেখলে বাকি ব্যাটাররা কেঁপে যেত, সেসব বোলারদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন সচিন। গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, কার্টলি অ্যামব্রোস, কর্টনি ওয়ালশ, মুথাইয়া মুরলীথরন ও শেন ওয়ার্নদের মতো কিংবদন্তিদের বিরুদ্ধে খেলেছেন অবলীলায়। বলে বলে চার-ছক্কা হাঁকাতেন সচিন। এহেন ব্যাটিং সুপারস্টার জানিয়েছেন যে, প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাককে (Abdul Razzaq) খেলতে গিয়ে তাঁকে বেগ পেতে হয়েছে। এই কথা শুনে আব্দুল বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, এত বোলার থাকতে সচিন তাঁর নামই করবেন!
নাদির আলির পডকাস্টে এলে আব্দুল বলেন, ‘দেখুন প্রথমত সচিন তেন্ডুলকর বিশ্বমানের ব্যাটার ছিল ও আজীবন থাকবে। যাই হোক, ওর মতো তারকার যে ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে, তাতে করে সচিনের আমার নাম বলারই দরকার ছিল না। আমি কখনও ভাবিনি যে, সচিন আমার নাম বলবে। ও যে কোনও কারোর নাম বলতে পারত। গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, কার্টলি অ্যামব্রোস, কর্টনি ওয়ালশ, মুথাইয়া মুরলীথরন ও শেন ওয়ার্ন। ওর মাহাত্ম্য যে, ও আমার নাম বলেছে। ও যে শব্দচয়ন করেছে তার জন্য কৃতজ্ঞ। আমি আগেও বলেছি, আবার বলব, ভীষণই দয়ালু মানুষ সচিন। একাধিকবার এই কথা বলেছে ও। এমনকী শেহওয়াগও বলেছে। আমি নাকি ধারাবাহিক ভাবে ব্যাটারদের ভুগিয়েছি। তবে আমি কখনই এই শুনে ভেসে যাইনি।’ চলতি বছর রাজ্জাক এক সর্বভারতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের চাপ নিয়ে কথা বলেছেন। রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘বীরেন্দ্র শেহওয়াগ সবচেয়ে ভংয়কর প্লেয়ার ছিল। এরপর সচিন তেন্ডুলকর। শেহওয়াগ ও সচিনের জন্য পাকিস্তান আলাদা পরিকল্পনা করা হত। আমাদের পরিকল্পনা একটাই থাকত। শেহওয়াগ ও তেন্ডুলকরের উইকেট নিতে পারলেই জিতে যাব। আর বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাটারদের পরিকল্পনা থাকত জাহির খান ও ইরফান পাঠানদের বিরুদ্ধে। হরভজন সিংও ছিল। এরা সকলেই বড় নাম। দেশের জন্য পারফর্ম করেছে।’
আরও পড়ুন: Sara Tendulkar: শুভমন নয়, এবার তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড মজলেন সারায়! গল্পের ট্যুইস্ট ইনস্টাতে
অলরাউন্ডার আব্দুল ছিলেন পাকিস্তানের গেমচেঞ্জার। দেশের জার্সিতে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন চুটিয়ে। নয়ের দশকের শেষ দিকে অভিষেক করা আব্দুল ৪৬ টেস্ট (১৯৪৬ রান, ১০০ উইকেট), ২৬৫টি ওয়ানডে (৫০৮০ রান, ২৬৯টি উইকেট) ও ৩২টি টি-২০ (৩৯৩ রান, ২০টি উইকেট) খেলেছেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছেন দেশের জার্সিতে।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)