অভিযুক্ত ছেলের নাম মিঠুন সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে মা’কে খুন করে প্রথমে ঘরে পুঁতে রাখার জন্য গর্ত করে। পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দেয় বাসনা দেবীর নিথর দেহ।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অভিযুক্ত ছেলে এই মুহূর্তে পলাতক বলে জানা গিয়েছে। মিঠুন সরকারের বউদি সম্পা সরকার এই বিষয়ে বলেন, “আমি এবং আমার স্বামী আলাদা থাকি। আজ সকালে এসে যখন আমি আমার শাশুড়িকে দেখতে পাইনা, সেই সময় মিঠুনকে প্রশ্ন করি যে উনি কোথায়। মিঠুন বলে মা’কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি খুঁজতে যাচ্ছি। নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে যায়। আমার একটু সন্দেহ হয়। তারপর আমি আমাদের আরও কয়েকজন আত্মীয়কে ডেকে আনি ও মিঠুন যে জায়গাতে বসে থাকে, সেখানে গিয়ে দেখি মাটি আলগা হয়ে রয়েছে। তখন সেখানে খোঁজাখুঁজি করতেই আমরা শাশুড়িকে মাটিতে পোঁতা অবস্থায় খুঁজে পাই।”
সম্পা সরকারের মতে তাঁর দেওরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। যদিও প্রতিবেশি লিপ্টন সরকার বলছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, “মিঠুন একজন নেশাগ্রস্ত ছেলে। সারাক্ষন নেশা করে থাকে। এই জন্য তাঁর মায়ের কাছে সে সবসময় টাকাও চাইত। সেদিনও হতে পারে টাকা চেয়েছিল। আর মা টাকা না দেওয়ায় রাগের মাথায় হয়ত খুন করেছে। কিন্তু আমরা কোনোরকম ঝগড়া বা চিৎকারের আওয়াজ পাইনি। কি করে এই খুন হল সেটাও আমার জানা নেই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে এরকমই একটি হাড়হিম করা ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল পাশের জেলা আলিপুরদুয়ার থেকে। ভাত রান্না করেনি মা, তাই গলা টিপে নিজের মা’কে খুন করে ছেলে। জানা গিয়েছিল, রাত ১২টার পর বাড়ি ফেরে ছেলে।
সেই সময় ভাত খেতে চাইলেও ভাত দেননি বৃদ্ধা মা। এরপরই ছেলে ভাতের হাড়ি খুলে দেখে তাতে ভাত নেই। তখনই চটে গিয়েছিল গুণধর ছেলে। প্রথমে মা’কে মারধর করতে শুরু করে, তারপরেই গলা টিপে মা’কে খুন করে ছেলে।