শুক্রবার তপ্ত ভাঙড়ে পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি ভাঙড়ে পৌঁছে বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা ঘুরে দেখেন। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় ছড়িয়েছিল অশান্তি। এদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন বোস। ঠিক কী ঘটেছিল? এই প্রসঙ্গে তিনি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ভাঙড় ২ -এর বিডিও অফিসে যান রাজ্যপাল। তিনি সরাসরি বিডিওর সঙ্গে কথা বলেন। গত পাঁচ দিনে কত পুলিশ মোতায়েন ছিল, ঠিক কী ঘটেছিল, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কেন অশান্তি ঠেকানো গেল না? সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নেন রাজ্যপাল, জানা গিয়েছে এমনটাই।
পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের সময় উঠে আসে সওকত মোল্লা প্রসঙ্গও। তাঁরা দাবি করেছিলেন, সওকত মোল্লার হস্তক্ষেপেই অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। সূত্রের খবর, এরপরেই রাজ্যপাল নিজের আধিকারিকদের থেকে প্রশ্ন করেন, “সওকত মোল্লা কে?” এরপরেই তাঁকে জানানো হয়, সওকত মোল্লা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক এবং ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক।
উল্লেখ্য, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ে যাবেন রাজ্যপাল, জানা গিয়েছে এমনটাই। জানা গিয়েছে, একাধিক প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে রাজ্যপালের। এদিন ভাঙড়ে উদ্ধার হয়েছিল তাজা বোমা। রাজ্যপালের এক সুরক্ষাকর্মীকে সেই ব্যাগ কিছুটা দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এদিন ISF কর্মীরা ভাঙড় বাজারে বিক্ষোভ দেখান রাজ্যপালের সামনে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে তাঁদের কোনও প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। মনোনয়নপত্র হাতে নিয়ে যান অনেকে এবং তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে চেয়ে আবেদন করতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, “আমাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপাল প্রশাসনিক প্রধান। তিনি আরও একটি দিন ধার্য করার ব্যবস্থা করে দিন যাতে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব হয়।” ভাঙড় কলেজের উলটো দিকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এদিন ভাঙড় কলেজেও যান সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। ভাঙড় ১ এবং ২ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি।