মুসলিম সমাজের নেতৃত্বে যারা আছেন, তাঁদের এবার ভেবে দেখা উচিৎ, সারাজীবন এভাবেই কি ওদের রাজনীতির বোড়ে করে রাখবেন? নাকি মানুষ হওয়ার সুযোগ দেবেন”। সেই সঙ্গে দিলীপ আরও বলেন, “মুসলিম এলাকাতেই গণ্ডগোল হচ্ছে। কে তৃণমূল, কে কংগ্রেস বোঝা মুশকিল। আজ তৃণমূল। কাল সে কংগ্রেস। পয়সা নিয়ে মারপিট করছে। এই যে হিংসা, ভাঙড়ে দেখুন, আমাদের লোকেরা মনোনয়ন দিতে তৈরি ছিল। যেভাবে দিনের পর দিন বোমা বন্দুক চলল, আমাদের লোকেরা ভয়ে মনোনয়ন দিতেই পারল না। হয় ISF, নাহলে তৃণমূল। ব্যাপারটা এমন, যদি ISF মনোনয়ন দিতে না পারে, তাহলে কেউ পারবে না।
অথচ ওখানে অনেক এরকম হিন্দু গ্রাম আছে, যেখানে কেউ মনোনয়ন দিতেই পারেনি”। ভাঙড়ে রাজ্যপালের যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, “উনি এসেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছেন। যেখানে দুর্ঘটনা বা গোলমাল, সেখানে ছুটে গিয়েছেন। বাসন্তী গিয়ে রেল দুর্ঘটনায় পীড়িতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। উনি খুব অ্যাক্টিভ। এটা দরকার আছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখেন। রাজ্যের মানুষ কিরকম আছে, নিজে দেখতে যান। রাজ্যের মানুষ বিপদে পড়লে অন্তত এই একটা লোককে পাশে পাবেন”। সম্প্রতি তৃণমূল দলকে মাস পার্টি করার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই নিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “মাস পার্টি হয়ে গিয়েছে তো। চোর ডাকাত গুণ্ডা বদমাইশ ধর্ষক খুনিদের পার্টি। এরা সবাই তৃণমূলে এসে গিয়েছে। আর কত মাস পার্টি করবেন? এবার তো পার্টি গুটিয়ে যাচ্ছে। সর্বভারতীয় থেকে লোকাল পার্টি হয়ে গিয়েছে। এরকম মাস পার্টি করে কি লাভ যাকে দেখে মানুষ ভয় পাবে? যারা ক্ষমতায় থাকলে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না?
এরকম মাস পার্টি রাখার দরকার নেই”। সেই সঙ্গে দিলীপ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে একহাত নিয়ে বলেন, “রাজীব সিনহা অযোগ্য। তাই তিনি এই পদে। তৃণমূল দল এবং সরকার যা ঠিক করে দেবে, উনি সেটাই মেনে নেবেন। উনি যদি যোগ্য হতেন, তাহলে মীরা পাণ্ডের মতো নিজেই আদালতে গিয়ে বাহিনী চাইতেন, এবং এতদিনে তাদের মোতায়েন করে দিতেন।
একে আদালত রোজ ধমক দেয়। তারপরেও উনি কিছু করতে পারেন না। কারণ সেই যোগ্যতা ওনার নেই”। তিনি আরও বলেন, “কোর্ট তার কথা বলেছে। দায়িত্ব নিতে হবে কমিশনকে। যদি না করতে পারে, তাহলে ধরে নিতে হবে এটা তৃণমূল কংগ্রেসের ইচ্ছায় হচ্ছে”। কাল আদালতে কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়ন ঘিরে রাজ্যে মৃত্যুর কোনও খবর নেই।
এই নিয়ে তোপ দেগে পুলিশ বলেন, “অন্ধ পুলিশ। খুন ধর্ষণ দেখতে পায়না। মুর্খের স্বর্গে বাস করে। সাধারণ মানুষ দেখছে। মিডিয়া দেখাচ্ছে লাইভ। রাস্তায় লাশ পড়ে আছে। কাল কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর যদি পুলিশ বলে কেউ মারা যায়নি, তাহলে আপনি এই পুলিশ প্রশাসনের ওপর ভরসা করবেন? এই রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি নির্বাচন কমিশন কাজ করে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে”? প্রশ্ন তোলেন দিলীপ।