পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়াতেও জাপানি মিয়াজাকি আম চাষ যে সম্ভব তার উদাহরণ প্রবীর রঞ্জন দাসের বাড়িতে বেড়ে ওঠা এই মিয়াজাকি আম। বর্তমানে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুটি মিয়াজাকি গাছ রয়েছে। গত বছর ৮০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে একটি চারা গাছ কিনে বাড়ির ছাদে টবে লাগিয়েছিলেন। গাছের বাড়বাড়ন্ত দেখে আরও একটি গাছ এবছরই তিনি লাগিয়েছেন। গত বছরের লাগানো গাছটি এক বছরের মধ্যেই অনেকটাই বেড়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, এবছর তাতে ফলেছে তিনটি মিয়াজাকি আমের। তার মধ্যে এখনও দুটি রয়েছে গাছে এবং একটি খেয়ে ফেলেছেন প্রবীর বাবু।
কেমন স্বাদ লাখ টাকার আমের? প্রবীরবাবু জানান, ”আমটির স্বাদ মাখনের মত। এমন আমের স্বাদ মুখে গেলে সত্যিই মনে হয় যেন লাখ টাকার জিনিস খাচ্ছি।” ব্যবসায়ী প্রবীর রঞ্জন দাস জানান, ”পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়াতে জাপানি মিয়াজাকি চাষ করা সম্ভব এটা ভাবতেও পারিনি।”
এক বছরের মধ্যে অনেকটাই বেড়ে উঠেছে গাছটি। এবছর তিনটি ফলন হয়েছে। এক একটি মিয়াজাকি আমের ওজন প্রায় ৫০০ গ্রাম। আন্তর্জাতিক বাজার মুল্য প্রতি কেজি প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মিয়াজাকি আমের চাষের জন্য বাড়তি কোনও যত্নই নিতে হয়নি। শুধুমাত্র গোবর সার দিয়েই মিয়াজাকি আমের ফলন করে দেখিয়েছেন প্রবীর রঞ্জন দাস । তার পাশাপাশি তিনি জেলার আম চাষী এবং ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন এই আম চাষ করে অনেকটাই লাভবান হওয়া সম্ভব, তাই মিয়াজাকি আমের চাষ করার আহ্বান জানান। যদিও তিনি জানান, মিয়াজাকি আম বিক্রির উদ্দেশ্যে নয় বাড়িতে সপরিবারে খাবার উদ্দেশ্যেই চাষ করেছেন।
