এদিন সকাল ১১টা নাগাদ কলকাতা নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে যান। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এর আগেই গ্রেপ্তার করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অভিযোগ, কল্যাণময় অযোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশ করতেন।
তার ভিত্তিতে বেআইনি ভাবে বহু নিয়োগ হয়েছে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, সামনে কল্যাণময় থাকলেও এর নেপথ্যেও অন্য কেউ ছিলেন। কল্যাণময় সভাপতি পদে আসীন হয়ে ছিলেন ২০১৬ সাল থেকে। তার আগে তিনি ছিলেন বোর্ডের প্রশাসক। বোর্ড অবশ্য ‘অ্যাড হক কমিটির’ ভিত্তিতে পুর্নগঠিত হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। বারো সদস্যের কমিটিতে সভাপতি হিসাবে মনোনীত হয়েছিলেন কল্যাণময়।
সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে মণীশ জানিয়েছেন, কল্যাণময়কে পর্ষদের ‘অ্যাড হক কমিটি’তে আনার ক্ষেত্রে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। তাঁর যুক্তি, এই দায়িত্ব বণ্টন হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই সময়ে শিক্ষা দপ্তরের সচিব ছিলেন দুষ্মন্ত নারিয়াল। ২০১৮-এর জুনে শিক্ষা দপ্তরের সচিবের দায়িত্ব পান বলে এদিন সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন মণীশ। জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বেশ কিছু নথিপত্র বৃহস্পতিবার মণীশ গোয়েন্দাদের কাছে জমা দিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর।