রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ জানান, তাঁর দপ্তরের একটি সরকারি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই বর্ধমানে আসেন। অরূপের কথায়, ‘এখানে এসে জানতে পারি, আমার জন্য সার্কিট হাউস বুক করা থাকলেও সেখানে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা আছেন। তাই একটি হোটেলে উঠি। সার্কিট হাউসে না থেকে কেন হোটেলে এলাম, তা জানতে এবং আমার নিরাপত্তার খোঁজখবর নিতেই এসেছিলেন পুলিশ সুপার। খবর নিয়েই চলে যান তিনি।’
বুধবার গভীর রাতে শুভেন্দু একটি টুইট করেন। সেখানে তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট ও রিগিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। অরূপ ছাড়াও ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস ও জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। টুইটের শেষে শুভেন্দু লেখেন – ‘অনুমান করুন রাত্রি ১১টা ৫৭ মিনিটে এই বৈঠকে কে যোগদান করলেন?’ উত্তর দিয়ে জানান – ‘এসপি, পূর্ব বর্ধমান, কামনাশিস সেন, সাধারণ পোশাকে।’
টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। অরূপ সাফ বলেন, ‘কে কী লিখল, তার উত্তর আমি দেবো না। নিরাপত্তা দেখার দায়িত্বটা জেলার পুলিশ সুপারের কি না, সেটা যিনি লিখেছেন, তাঁর কাছে জেনে নেবেন।’ মন্ত্রী-সাক্ষাতে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন কি না, সে ব্যাপারে তো বটেই, গোটা বিষয়েই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি কামনাশিস। তবে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘অরূপ বিশ্বাস আমাকে ডেকেছিলেন, আমি গিয়েছিলাম। ভোটের ব্যাপারে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে অন্যায়টা কোথায়?।’ খোকনের বক্তব্য, ‘মামলা অধিকারী (শুভেন্দু) কী বললেন, তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। যাঁকে সব কথায় আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়, তাঁর কথার কী উত্তর দেবো! সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা নেই, আবার বড়বড় কথা!’
বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যখন টুইট করেছেন, তখন তাঁর কাছে নিশ্চয়ই প্রমাণ আছে। সরকারি অফিসারের নির্বাচনী আচরণবিধি মানা উচিত। সেটা মানা হয়নি বলেই আমাদের নেতা ওই কথা লিখেছেন।’